ফের পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে অনশনে বসলেন বিনয় তামাংরা। এমনকি ২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনই পাহাড়ে ১২ ঘন্টা বনধের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। এতেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ফের কি অশান্তির আঁচ এসে পড়বে দার্জিলিঙে?
পাহাড়ের রাজনীতিতে আন্দোলন, অনশন নতুন কিছু নয়। এর আগেও বিনয় তামাং, বিমল গুরুংরা পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সুর চড়িয়েছিলেন। সেই দাবিতেই ফের অনশন বিনয় তামাং, হামরো পার্টির নেতা অজয় এডওয়ার্ডদের। তাঁদের সাথে জিটিএ-র আরও ৫ সদস্য রয়েছেন। ভানুভবনে অনশন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও হামরো পার্টি যৌথভাবে বনধের ডাক দিয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি পাহাড়ের সকল মানুষকে বাড়িতেই থাকার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও পরীক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধা হবে না বলেই অনশনকারীরা জানান।
তাঁরা জানিয়েছেন, বিধানসভায় আনা বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আমাদের অনশন। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আমাদের সম্পর্কে যা বলেছেন তার ধিক্কার জানাই আমরা।
যদিও পাহাড় থেকেই অনশনকারীদের নাম না করেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক সভা থেকে তিনি বলেন, "কোনো বনধ হবে না। আমরা বনধকে সমর্থন করি না। আন্দোলন সবাই করতে পারেন। তবে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা করে বনধ করলে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে।"
তিনি এও বলেন, "বাংলায় বনধের সংস্কৃতি উঠে গিয়েছে। আমরা বঙ্গভঙ্গ করতে দেব না। উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। বঙ্গ একটাই থাকবে, কোনো ভঙ্গ হবে না। যাঁরা ভঙ্গ করার চেষ্টা করবেন তাঁদের মোহভঙ্গ হবে। আমি কোনো অশান্তি করতে দেব না। এটা আমার চ্যালেঞ্জ।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন