সোমবার (১৩ই জুন) রাতের অন্ধকারে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকে মারধর ও শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। সামনেই এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। নির্বাচনের আগে এই রকম ঘটনা রীতিমতো আতঙ্ক ছড়াচ্ছে রাজনীতির অন্দরে।
রাতের অন্ধকারে কাজ সেরে ফিরছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি মহসিম মোল্লা। সাথে ছিলেন দুজন সঙ্গী। বাইকে তিনজন মিলে ক্যানিংয়ের হাটপুকুর এলাকা থেকে পোলের মোড়ে দিকে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। অভিযোগ ওঠে, প্রায় ২৫ জন দুষ্কৃতী মিলে মহসিম ও তাঁর দুই সঙ্গীকে ঘিরে ধরে মারধর করে। ঘটনায় জখম হন মহসিম ও তাঁর দুই সঙ্গী রিয়াজুল আর ইকতার। রাতেই তাঁদেরকে আহত অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্রের খবর, সোমবার রাতে এই তৃণমূল নেতা ও তাঁর সঙ্গীরা উপায় বুঝতে না পরে চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার চ্যাঁচামেচিতে ছুটে আসেন এলাকার লোকজন। তৎক্ষণাৎ সেই এলাকা ছেড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রাই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় মহসিমদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ক্যানিং থানার পুলিশ।
ঘটনার পর তৃণমূল নেতা মহসিম মোল্লার বয়ান, “আমি কাজ সেরে বাড়ির দিকে ফিরছিলাম। একদল ছেলে, ওরা সিরাজ গ্রামে থাকে। তাঁরা হঠাৎ আমাদের ঘিরে ধরে মারধর করে। আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছিল ওরা। আমরা চিৎকার করায় স্থানীয় লোকজন এসে আমাদের প্রাণে বাঁচান। আমি বুথ সভাপতি হওয়ায় ওদের রাগ”।
যদিও এই ঘটনার পরে পুলিশের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, পুলিশের কাছে মহসিমদের তরফে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, রাজনীতির আগুনে এই এলাকা প্রায় সারাবছরই উত্তপ্ত হয়ে থাকে। এহেন ঘটনা এলাকায় নতুন নয়। প্রশাসনকে কড়াকড়িভাবে এই ঘটনার পরিস্থিতি সামলানোর দাবী জনিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন