গত ২৮ আগষ্ট উচ্চ প্রাথমিকে ১৪,০৫২টি পদে নিয়োগের জন্য নতুন মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সেই মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। এবার হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
হাইকোর্টের নির্দেশ সংরক্ষণ নীতি-বিরোধী, এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে আবার তৈরি হল জট।
২০১৫ সাল থেকে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। হাইকোর্টের নির্দেশে বার বার স্থগিত হয়ে যায় নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দেয়। এরপর ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশের অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সময় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, প্যানেল প্রকাশ করলেও কাউকে নিয়োগের সুপারিশ দিতে পারবে না এসএসসি। গত ১৮ জুলাই এই মামলার শেষ শুনানি ছিল।
এরপর গত ২৮ আগষ্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই মামলার রায় ঘোষণা হয়। বেঞ্চ এসএসসিকে নির্দেশ দেয় আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ১৪,০৫২ পদে নতুন মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে।
২০২৩ সালে অভিযোগ ওঠে, শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া থেকে ১,৪৬৩ জনকে বাদ দেওয়া হয়। মামলাকারীরা জানান, ওই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা জানানো হয়নি। পরে চার বার তা খতিয়ে দেখে এসএসসি। শেষে ইন্টারভিউ থেকে বাদ পড়েন ৭৪ জন। সে ক্ষেত্রেও সঠিক নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল।
এছাড়া, সংরক্ষণের নীতি না মেনে কাউন্সেলিংয়ের অভিযোগ ওঠে এসএসসির বিরুদ্ধে। তাছাড়া, ওএমআর শিট নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আদালত।
হাইকোর্ট জানিয়েছিল, বাদ দেওয়া ১,৪৬৩ জনকে যুক্ত করে ওই ১৪,০৫২ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসিকে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। পরের চার সপ্তাহে কাউন্সেলিংয়ের কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন