বীরভূম জেলার সিউড়ি সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। সেখান থেকে 'বেনামি' ৫০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা। অসমর্থিত সূত্রে জানা যাচ্ছে, বেনামি এই ব্যাঙ্ক আকাউন্টের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ টি। যা আরও বাড়তে পারে।
সূত্রের খবর, প্রতিটি অ্যাকাউন্টে একজন ব্যক্তিরই সহ রয়েছে। আর, সেই ব্যক্তির সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) যোগ থাকার বিষয়টি সামনে এসেছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। জানা যাচ্ছে, ওই সব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে আগেই অনুব্রত মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সেই মামলার তদন্তে এদিন সিউড়ি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে অভিযান চালায় সিবিআই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি দল। আর, তা থেকেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য।
সিবিআই সূত্রে খবর, গ্রামের গরিব চাষীদের নামে এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল। তবে, অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্মে যে সই রয়েছে, তা সবই একই ধরনের। সিবিআইয়ের অনুমান কোনও একজন ব্যক্তিই অ্যাকাউন্টগুলি খুলেছেন। এই বিষয়ে হস্তলিখন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার কথা ভাবছে সিবিআই।
তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, ওই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে রাজ্য খাদ্য দফতরের যোগসূত্র রয়েছে। গরীব মানুষদের কাছ থেকে অল্প দামে নগদে ধান কেনা হয়েছিল ওই অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করে। পরে, সেই ধানকে চালে রূপান্তরিত করে রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগে বিক্রি করা হয়েছিল। এভাবেই গরু পাচারের টাকা দিনের পর দিন সাদা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে সিবিআই।
এর আগেও গরু পাচারের মামলায় একাধিকবার ব্যাঙ্কে গিয়ে নথি পরীক্ষা করেছে সিবিআই। বোলপুরের যে সব ব্যাঙ্কে অনুব্রত মণ্ডল বা তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট আছে, সেগুলিতে হানা দিয়েছে সিবিআই। আর এবার সিউড়ির ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, এ দিন আবারও অনুব্রত মণ্ডলের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন