একবার ১ কোটি নয়, একাধিকবার (বারে বারে) লটারি জিতেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল এবং তার মেয়ে সুকন্যা মন্ডল। গোরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে লটারি কান্ড নিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI।
বর্তমানে, গোরু পাচার মামলায় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এই মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১ কোটি টাকার লটারি জেতেন অনুব্রত। সিবিআই আধিকারিকদের মনে সন্দেহ জাগে লটারি জেতার নামে অনুব্রত আসলে গোরু পাচারের কালো টাকা সাদা করেছেন কিনা।
পরে, অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য খতিয়ে দেখতে গিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পান সিবিআই আধিকারিকরা। জানা যায়, শুধু একবার ১ কোটি নয়, তিন-তিনবার লটারি জিতেছেন অনুব্রত মন্ডল ও তাঁর মেয়ে।
এর মধ্যে দুই লটারি জেতার পর মোট ৫১ লক্ষ টাকা গিয়েছে সুকন্যা মন্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে৷ এছাড়া, ২০১৯ সালে অনুব্রত মণ্ডলের একটি অ্যাকাউন্টে লটারি জেতার ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছে।
সিবিআই আধিকারিকদের মতে, তিন বছরের মধ্যে ৪ বার লটারি জেতার টাকা বাবা এবং মেয়ের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। এটি কখনোই কাকতালীয় বিষয় নয়।
এর আগে, লটারির তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে, অনুব্রত যে ১ কোটি টাকা জিতেছেন তা আসলে বিক্রি হয়েছিল ‘রাহুল লটারি এজেন্সি’ থেকে।
প্রথমে, ‘রাহুল লটারি এজেন্সি’র কাছ থেকে লটারির টিকিট কিনেছিলেন রণজিৎ ধীবর নামের এক টিকিট বিক্রেতা। এরপর, ধীবরের কাছ থেকে লটারি কেনেন মুন্না সেখ। তারপর সেই টিকিট বিক্রি করেন মুন্না। তাঁর বিক্রি করা একটি টিকিটেই ১ কোটি টাকা পুরস্কার পান অনুব্রত।
সূত্র জানায়, ধীবর ও মুন্না সেখ, দু'জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ধীবর জানিয়েছেন, যেহেতু তিনি পাইকারি টিকিট বিক্রেতা ছিলেন, ফলে টিকিটটি আসলে কার কাছে বিক্রি হয়েছে তা তাঁর পক্ষে জানা সম্ভব নয়।
লটারির টিকিট বিক্রেতা মুন্না শেখ সিবিআইকে জানিয়েছেন, কার কাছে তিনি নির্দিষ্ট টিকিটটি বিক্রি করেছিলেন, তা মনে করা তার পক্ষে অসম্ভব। কারণ, অনেক লোকই নিয়মিত টিকিট কিনতে তাঁর দোকানে আসে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন