টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডে বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রের কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে বেরোনোর পর এবার তাঁর কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কার্যালয়ে হানা দিল সিবিআই। ১০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি দল পৌঁছায় তাঁর কার্যালয়ে। চলছে তল্লাশি।
অন্যদিকে, শনিবার সকাল ৭ টা নাগাদ মহুয়া মৈত্রের আলিপুরের ‘রত্নাবলী’ ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযানে যায় সিবিআই। সেখানে বহিষ্কৃত সাংসদের বাবা দীপেন্দ্রলাল মৈত্র এবং মা মঞ্জু মৈত্র থাকেন। মহুয়া মৈত্রের কলকাতার ফ্ল্যাটে প্রায় ৬ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে তল্লাশি অভিযানের পর বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, তল্লাশির অভিযানের পর খালি হাতেই বেরোন তদন্তকারী অফিসাররা। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শীঘ্রই মহুয়া মৈত্রকে সমন পাঠাবে সিবিআই।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের কৃষ্ণনগর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। ভোটের প্রচারের জন্য কৃষ্ণনগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের জনি মোদক নামের এক ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন তিনি। সেখান থেকে সমস্ত কাজকর্ম চালাচ্ছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঘুষের বদলে সংসদে প্রশ্ন কাণ্ডে গত ৮ ডিসেম্বর মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করা হয়। সংসদের এথিক্স কমিটি তাদের রিপোর্টে বলে, ‘‘মহুয়া মৈত্র এবং ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির মধ্যে যে টাকার লেনদেন হয়েছে, কেন্দ্রের উচিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার আইনি এবং প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করা।’’ গত ৮ ডিসেম্বর লোকসভায় ধ্বনিভোটে মহুয়াকে বহিষ্কারের প্রস্তাব পাশ করানো হয়।
আবার গত ১৯ মার্চ লোকপাল মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই কারণেই সিবিআই-র এই তৎপরতা বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে। যদিও মহুয়া মৈত্র প্রথম থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন