মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ি সহ জেলার চার জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। এই জাফিকুলকে গোরুপাচার মামলায় এর আগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। এবার সম্ভবত নিয়োগ দুর্নীতির সাথে ওই বিধায়ক যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা।
বুধবার কলকাতার ধর্মতলায় ছিল অমিত শাহর সভা। সেখানে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। সভার ২৪ ঘন্টার যেতে না যেতেই ফের সিবিআই তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে সিবিআই অভিযান। শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদেই চার জায়গায় অভিযানে নেমেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। বিধায়ক জাফিকুলের বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের খবর, বিধায়কের পরিবারের সদস্যদের বয়ান রেকর্ড করেন আধিকারিকরা। তবে বিধায়ক বাড়িতে আছেন কিনা বা বিধায়কের সাথে আধিকারিকদের কথা হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। নিয়োগ দুর্নীতির সাথেও বিধায়কের যোগ থাকতে পারে। জাফিকুলের কার্যালয়েও তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই।
বিধায়কের বাড়ির পাশাপাশি ঝন্টু শেখ নামে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, এই ঝন্টু শেখের একাধিক বিএড কলেজ রয়েছে। ফলে তাপস মণ্ডলের সাথেও পরিচয় আছে ঝন্টুর। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ এই ঝন্টু। এই ঝন্টু শেখ মারফত অনেকেরই চাকরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এছাড়াও এদিন সকালে বিধাননগর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী এবং কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্যদাশগুপ্তের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই।
সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, অনেকে বলছেন বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। যাঁরা ভাবছেন অমিত শাহর সভার পরই সিবিআই তৎপরতা তাঁরা ভুল ভাবছেন। বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় না। মানুষই এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল দু'মাসের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত তদন্ত শেষ করতে হবে সিবিআইকে। আর ৬ মাসের মধ্যে আদালতে শুনানি শেষ করতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন