গোরু পাচারকান্ডে সিবিআই-র সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট থেকে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেখানে নাকি সায়গল দাবি করেছেন সমস্ত টাকা অনুব্রতর কাছে পাঠানো হত। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছেন অনুব্রত।
সিবিআই সূত্রে খবর, সায়গল গোরু পাচারকান্ডের টাকা অনুব্রতর কাছেই যেত। অনুব্রতর হয়ে যোগাযোগ করতেন সায়গলই। গোরু পাচারকান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের সাথেও ফোনে যোগাযোগ ছিল সায়গলের। মামলায় ৯৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, সায়গলের সম্পর্কে কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেছেন অনুব্রত। তিনি এও বলেন, সায়গল যা করত নিজেই করত। তার সাথে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। ওর এত সম্পত্তি সম্পর্কেও কিছু জানা নেই। সায়গল শুধুই আমার দেহরক্ষী ছিল। এর থেকে বেশি কিছু নয়। তিনি এও দাবি করেন, এনামুলকে চিনতেন না। এদিকে অনুব্রতর আইনজীবী জানান, মমতা ব্যানার্জী তাঁর পাশে থাকায় তিনি বেশ আত্মবিশ্বাসী।
উল্লেখ্য, ১১ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে। ২০ আগস্ট পর্যন্ত তাঁকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। গোরু পাচারকান্ডে তদন্ত চালাতে গিয়ে সায়গলের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পায় আধিকারিকরা। সেইসব সম্পত্তির আয়ের উৎস খুঁজতে গিয়ে অবাক হয়ে যায় সিবিআই। তাঁদের হাতে আসে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও তাঁর মেয়ের প্রচুর সম্পত্তির কাগজ।
আধিকারিকরা জানান ৪৫ টি জমি রয়েছে বাবা ও মেয়ের নামে। পরে আবার ১৫ টি জমির খোঁজ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নতুন করে রাইস মিল ও একটি ৫০ বিঘা জমির ওপর খামার বাড়ির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ঐ গুলো সব অনুব্রতর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন