দলীয় নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছিলেন উত্তর দমদম বিধানসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য। দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত তিনি আগামী তিন মাস কোনও সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিতে পারবেন না এবং কোনও বিতর্ক সভায় দলের হয়ে অংশ নিতে পারবেন না। সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলী এই সদস্যর বিরুদ্ধে এমনই নিষেধাজ্ঞা জারি করল দলীয় নেতৃত্ব।
এবারে বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট সংযুক্ত মোর্চা সম্পূর্ণ মুখ থুবড়ে পড়েছে। একটি আসনও পায়নি বামেরা। বিধানসভা বাম শূন্য। এই বিপর্যয়ের জন্য দলের রণকৌশল নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলে তন্ময়বাবু আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, হারের দায় বর্তাবে দলের রণকৌশল নির্ধারণকারী নেতৃত্বের ওপরই।
তন্ময় ভট্টাচার্যর এই প্রকাশ্য বক্তব্যের পরেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিআইএমের সম্পাদকের নামে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘তন্ময় ভট্টাচার্য যা বলেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত মত। পার্টি পরিচালনা বা নেতৃত্বের বিষয়ে যা বলেছেন, সে ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ এরপর নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে দলের কাছে যুক্তি দেন তন্ময়। কিন্তু তা শনিবারের রাজ্য কমিটির বৈঠকে মান্যতা পায়নি। উল্টে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিআইএমের বিবৃতিতেই সিলমোহর দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব।
ঠিক কী বলেছিলেন তন্ময় ভট্টাচার্য? প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক বলেন, ‘দলের এই ব্যর্থতার দায় নেতৃত্বের। আমাদের নয়। নিচুতলার কর্মীদেরও নয়। লোকসভায় শূন্য হয়ে যাওয়ার পরেও সেই দায় কেউ নেননি। বিধানসভায় হারের পরেও কেউ দায় নেবেন না। শুধু স্তালিন কপচালে হবে না। এটা স্তালিনের যুগ নয়।’ একইসঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোটের অনুমোদন নিয়েও বিস্ফোরক ছিলেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন