জঙ্গলমহলে ভোট মিটতেই গ্রেফতার করা হলো ছত্রধর মাহাতোকে। শনিবার গভীর রাতে লালগড়ের আমলিয়াতে তাঁর নিজের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। বারো বছর আগে রাজধানী এক্সপ্রেসে মাওবাদী হামলা এবং সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনের ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২০০৯ সালে ঝাড়গ্রামের বাঁশতলায় ভুবনেশ্বর-রাজধানী এক্সপ্রেসে মাওবাদী হামলায় নাম জড়িয়েছিল ছত্রধর মাহাতোর। ওই বছরই সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাতোকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। একাধিক অভিযোগে ওই বছর ২২ সেপ্টেম্বর লালগড় থেকে গ্রেফতার করা হয় ছত্রধরকে। ১১ বছর পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পান তিনি। এর কিছুদিন পর তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয় তাঁকে। দলের রাজ্য সম্পাদক করা হয় তাঁকে।
সম্প্রতি রাজধানী এক্সপ্রেসে হামলা এবং প্রবীর মাহাতোকে খুনের ঘটনার নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। গত ১৫ মার্চ কলকাতায় এনআইএ'র কার্যালয়ে ছত্রধর মাহাতোকে জেরা করা হয়। এর পরের দিন ফের জেরার জন্য ফের কলকাতায় তলব করা হয় তাঁকে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ওইদিন হাজিরা দেননি তিনি। যদিও এরপরের দিন অর্থাৎ ১৭ মার্চ লালগড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় বক্তৃতা দেন তিনি।
জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ৪০ জনের একটি দল ছত্রধর মাহাতোর বাড়িতে যায়। কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা না দেখিয়ে রাতের পোশাক পরিহিত অবস্থাতেই তাঁকে তুলে যায় এনআইএ আধিকারিকরা, অভিযোগ তাঁর ছেলের। জানা গেছে, কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন