সোমবার হুগলির আরামবাগে সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিনের সভা থেকে রাজ্যে সরকারের স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মী মিলিয়ে বিভিন্ন দফতরে পাঁচ লক্ষ দ্রুত নিয়োগ করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে পুলিশেই নিয়োগ হবে ৬০ হাজার।
রাজ্যে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক পদে ফাঁকা রয়েছে প্রায় ১ লক্ষ। পুলিশে শূন্যপদ ৬০ হাজার। এ ছাড়া দমকল, পঞ্চায়েত, স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি-সহ বেশ কয়েকটি দফতরে পদ খালি রয়েছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে কত শূন্যপদ রয়েছে, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী তার হিসাব চেয়েছিলেন। সেই হিসাব পাওয়ার পর সোমবার এই ঘোষণা করলেন তিনি।
সিপিআইএম, বিজেপি ও কংগ্রেসকে এক বন্ধনীতে ফেলে মমতা বলেন, ‘‘কিছু ফুরফুরে উড়ে বেড়াচ্ছে। নিয়োগ হলেই তারা কোর্টে চলে যাচ্ছে। মামলা করে সব আটকে দিচ্ছে। সিপিআইএম, কংগ্রেস, বিজেপির কিছু ফুরফুরে প্রজাপতির মতো উড়ে উড়ে এই সব করে বেড়াচ্ছে।’’
উল্লেখ্য, এই সভা বুধবার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যেহেতু সরস্বতী পুজোর জন্য আগামী মঙ্গল ও বুধবার ছুটি থাকবে সরকারি দফতর, সেকারণে এই সভা এগিয়ে সোমবার করা হয়েছে। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঘাটালের সাংসদ দেব। উপস্থিত ছিলেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।
গত বারের লোকসভাতে খুব অল্প মার্জিনে জিতেছিলেন অপরূপা পোদ্দার। সোমবারের সভা থেকে লোকসভায় তৃণমূলকে জেতানোর আহ্বান জানালেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘খেলা হবে। খেলতে হবে। পরাজয় মানব না। জয়ী হব, জয়ী হব, জয়ী হও, জয়ী হও।’’ সরকারি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘‘যখন যেটা দরকার, দিদির কাছে আবদার করবেন, দিদি দেখে নেবে। কিন্তু অন্যদের কথা শুনবেন না। ওরা যা বলে তা করে না। আমরা যা বলি, তা-ই করি। আমার কথাই আমার কাজ।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন