দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পানাগড়ে ঘোষণা করেছিলেন, বাংলাকে শিল্পে দেশের মধ্যে এক নম্বরে প্রতিষ্ঠিত করবেন। কাজের সুযোগ তৈরি হবে রাজ্যে। কলকারখানার উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ আনার ব্যবস্থা করা হবে। রাজ্যে শিল্পে লগ্নি আনাই সামগ্রিক ভাবে লক্ষ্য। সেই উপলক্ষেই এবার মুখ্যমন্ত্রী পাড়ি জমাতে পারেন আমেরিকায়।
শুক্রবার বণিকসভা আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সকে এমনই বার্তা দিয়েছে রাজ্য। শীঘ্রই ওই সফরের সূচি চূড়ান্ত হতে চলেছে। এদেশে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত অ্যামচ্যামের আহ্বায়ক। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এ দিন চেম্বারের বার্ষিক সভায় পশ্চিমবঙ্গকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে ওই বৈঠকে রাজ্যের তরফে ছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এবং শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
রাজ্যে আমেরিকান বিনিয়োগ নতুন নয়। চালু সংস্থার সম্প্রসারণের পাশাপাশি আমেরিকা থেকে নতুন বিনিয়োগ আনতেই মার্কিন মুলুকে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে থাকবেন রাজ্যের শিল্প প্রতিনিধিরা।
অন্যদিকে, সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি হাবে ডেটা সেন্টারের জন্য ইতিমধ্যেই জমি নিয়েছে জিয়ো, এয়ারটেল, ইনফোসিসের মতো সংস্থা। ফলে এই নতুন নীতি আমেরিকান সংস্থাগুলিকেও আকৃষ্ট করবে। এছাড়াও, আমেরিকান তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা কগনিজ্যান্টে রাজ্যে প্রায় ২০ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সরকারি সূত্রে।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে পেপসি তিনটি প্লান্ট করেছে সরকারি শিল্পতালুকে। সেখানে প্রতি বছর ২০ শতাংশ করে কাজের পরিধি বাড়ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ১৮ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। কোকাকোলার নরম পানীয়তে রাজ্যে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা। ওয়ালমার্টের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ফ্লিপকার্টও রাজ্যে তাদের পরিধি বাড়াচ্ছে।
অ্যামাজন ৭টি লজিস্টিক্স কেন্দ্র তৈরি করেছে রাজ্যে। ডিজিটাইজ করেছে প্রায় ৩২ হাজার ছোট বিক্রেতার কর্মপদ্ধতিকে। সব লজিস্টিক্স কেন্দ্র মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে বলে দাবি রাজ্য সরকারের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন