এতো বোমা আছে যে একটা গ্রাম ওড়াতে ১০ মিনিটও সময় লাগবে না, ভাইরাল ভিডিওতে দাবি তৃণমূল নেতার

ভিডিওতে এক ব্যক্তি বলছেন, বোমা-বন্দুক এখন সাধারন ব্যাপার। ও নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। আমাদের কাছে এত বোমা-বন্দুক আছে যে ফতেয়াবাদ গ্রামের সব বাড়ি-ঘর ভাঙতে ১০ মিনিটও সময় লাগবে না।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা (ডানদিক থেকে প্রথমে)
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা (ডানদিক থেকে প্রথমে) ছবি সৌজন্যে ভাইরাল ভিডিওর স্ক্রিনশট
Published on

রামপুরহাট কাণ্ডের রেস এখনও কাটেনি। এরই মাঝে ভাইরাল হলো এক তৃণমূল নেতার হুমকির ভিডিও। যেখানে তিনি বলছেন তাঁর কাছে এত বোমা রয়েছে, একটা গ্রাম উড়িয়ে দিতে 10 মিনিট সময় লাগবে তাঁর। পিপলস রিপোর্টার এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে নি।

বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে কয়েকজনকে মিলে একটি ঘরোয়া বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে। সেখানে এক ব্যক্তি বলছেন, বোমা-বন্দুক এখন সাধারন ব্যাপার। ও নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। আমাদের কাছে এত বোমা-বন্দুক আছে যে ফতেয়াবাদ গ্রামের সব বাড়ি-ঘর ভাঙতে ১০ মিনিটও সময় লাগবে না।

জানা গেছে, ভিডিওটি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের হাপতিয়া গছ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ভিডিওতে যাকে এই মন্তব্য করতে দেখা গেছে, তিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা শাকির আহমেদ।

এই ভিডিও ভাইরাল হতেই দ্বিতীয় রামপুরহাট ঘটনার আশঙ্কা করছেন রাজ্যবাসী। একই আশঙ্কা হাপতিয়া গছ এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁরা জানিয়েছেন, এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। প্রয়োজনে আন্দোলন করবেন।

গতকালই চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রহমান প্রকাশ্য সমাবেশে পুলিশকে বেঁধে মারধর করে শুধরে দেওয়ার নিদান দিয়েছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এরপর আজ স্থানীয় উপপ্রধান বোমা-বন্দুক দিয়ে বাড়িঘর উড়ানোর হুমকি দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার নিয়েছে। শাকির আহমেদ শিবিরের ঝামেলা মূলত চোপড়া ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তাহির আহমেদের শিবিরের সাথে। সেই কারণেই এই হুমকি।

এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বগটুইয়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। বগটুইয়ের ঘটনার তিন-চারদিন পর বাসন্তীতেও একই ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত এরা। বেআইনি সম্পদের জন্য এটা হচ্ছে। আমরা তৃণমূল, আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা যা খুশি তাই করব। যত ইচ্ছা উপার্জন করবো। পাঁচ-সাত প্রজন্মের উপার্জন একসাথে করে নেব। এই ধারণা এদের মস্তিষ্কে ঢুকে গেছে। কয়লা প্রচারের ভাগ কালীঘাটে আসছে। উপপ্রধানও তাঁর মতো ভাগ নিচ্ছে। সেই ভাগ টিকিয়ে রাখতেই এই বোমা বন্দুক।

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা (ডানদিক থেকে প্রথমে)
সন্ধ্যা মুখার্জির চিকিৎসা হলো না SSKM-এ, কিন্তু CBI ডাকলে অনুব্রতর রক্ষাকবচ হচ্ছে - সুজন চক্রবর্তী

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in