উপসংহার হয়তো তৈরিই ছিল। তাই অভিযুক্ত চিকিৎসককে বদলি করা হল। কিন্তু আড়াল করা হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ডা. নির্মল মাজিকে। করোনাকালে কোভিড চিকিৎসার অন্যতম মহার্ঘ্য টোসিলিজুমাব ইনজেকশন চুরির ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি-সহ ওপরতলার আধিকারিকদের আড়াল করেই স্বাস্থ্য ভবনে জমা পড়েছিল তদন্ত রিপোর্ট।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, এবার তার ভিত্তিতে ইনজেকশন কাণ্ডে অভিযুক্ত মহিলা চিকিৎসক দেবাংশী সাহাকে কোচবিহারের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বদলি করা হয়েছে। একইসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের সিস্টার ইনচার্জ ও সিসিইউ ইনচার্জ বিরুদ্ধেও বিভাগীয় পদক্ষেপ করতে চলেছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, তাতে নির্মল মাজির কথাতেই হাসপাতাল থেকে ভুয়ো প্রেসক্রিপশনে টোসিলিজুমাবের ২৬টি ভায়াল তুলে নিয়েছিলেন দাবি করেছেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অভিযুক্ত চিকিৎসক দেবাংশী সাহা। কিন্তু তদন্ত কমিটি একবারও নির্মল মাজিকে এব্যাপারে কিছু জিজ্ঞাসা করেনি।
গত ১ জুন তদন্ত কমিটি তৈরি হওয়ার দিনই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই একপাক্ষিক ভূমিকা নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই অভিযোগ। 'কে একটা অভিযোগ করলেন, উনি নিজে ঠিক আছেন তো? সব ব্যাপার তদন্ত ছাড়া হয় না। মেডিক্যাল কলেজ আছে। তারা ব্যাপারটা ভালো বোঝে। কারও একটা কথা শুনেই রাজনৈতিক অবস্থান নিতে হবে নাকি!'
প্রসঙ্গত, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে করোনার জীবনদায়ী ওষুধ বলে পরিচিত টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন চুরির ঘটনায় ইতিমধ্যেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামকারীর বক্তব্য- রাজ্য সরকার যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, সেই কমিটির সদস্যদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নির্মল মাজির ভাবমূর্তি যে মোটেই ভালো নয়, সেটা সবাই জানেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন