ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার দরুন পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল। যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি-সহ তাঁদের মুক্তির দাবিতে এবার সরব হলেন আনিসের বাবা সালেম খান, দাদা সাবির খান-সহ গোটা পরিবার। অভিযোগ পুলিশের লকআপে ধৃতদের উপর চলে অকথ্য অত্যাচার।
'আনিস হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই', 'মীনাক্ষী মুখার্জি-সহ আন্দোলনকারী ১৬ জনের মুক্তি চাই' এই দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে রাজ্য। রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই দাবিতে মিছিল করে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে মেদিনীপুর শহরে। অভিযোগ, এই মিছিলে শামিল হওয়া ছাত্র-যুব কর্মীদের জেলে ঢোকানোর হুমকিও দিয়েছে পুলিশ। সেই হুমকি উপেক্ষা করে চলেছে তাঁদের প্রতিবাদ আন্দোলন। সেদিনের ঘটনার ১৪ দিন পরেও মূল অভিযুক্তরা অধরা।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, তদন্তের নামে আরও একটি প্রহসন দেখা দিতে চলেছে। প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আদৌ ন্যায়বিচার মিলবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চিত আনিসের পরিবার। ডিওয়াইএফআইয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, গ্রেফতার হওয়া ১৬ জনের মুক্তির দাবিতে সারা রাজ্য জুড়ে এককোটি মানুষের সই সংগ্রহ করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।
আনিসের মৃত্যুর অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে ও গ্রেফতার হওয়া ১৬ জনের মুক্তির দাবি সম্বলিত কাগজে স্বাক্ষর করেন আনিসের বাবা, দাদা ও পরিবারের সদস্যরা। আমতায় আনিসের গ্রামের বাসিন্দারা সেই দাবিপত্রে সই করেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রকৃত অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে এবং তাতে মদত রয়েছে তদন্তকারীদের। সিটের তদন্তে কোনও আস্থা নেই। যাদের জেলের ভিতর থাকার কথা, তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর যারা প্রতিবাদ আন্দোলন করছেন অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে, তাদের জেলে আটকে রাখা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সিট গঠনের ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে। কিন্তু ১৪ দিন হয়ে গেলেও মাত্র দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রকৃত অপরাধীরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে বলেই দাবি গ্রামবাসীদের। রবিবার সকালে আনিসের বাড়ি গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, জেলা সভাপতি সুভাষ দে, জেলা সম্পাদক সরোজ দাস প্রমূখ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন