সপ্তাহান্তে ভারত বনধের জেরে ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের। সারনা ধর্মকে মান্যতা দিতে হবে - এটা সহ বিভিন্ন দাবি তুলে শনিবার সকালে আসানসোলের কালীপাহাড়ি স্টেশনে রেললাইনের উপর বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে আধিবাসী সংগঠন ‘আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান’। যার জেরে সকাল থেকেই ব্যহত ট্রেন চলাচল। তবে জানা গেছে, অবরোধ উঠে গিয়েছে, পরিষেবা স্বাভাবিকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
শনিবার সকাল ৬টা ৫০ থেকে আসানসোল ডিভিশনে রেল অবরোধ শুরু হয়। চলে ৭টা ৩৫ পর্যন্ত। তার পর ট্রেন চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক হয়। অন্যদিকে বাঁকুড়া জেলাতেও সকাল থেকে বনধ শুরু হয়েছে। এদিন বনধ সমর্থনকারীরা ছাতনার জোড়হীড়ায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এই অবরোধের জেরে সকাল থেকেই বাঁকুড়া শালতোড়া রাজ্য সড়কে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়।
আদিবাসীদের সারনা ধর্মের রাষ্ট্রীয় গুরু সালখান মুর্মুর নেতৃত্বে এ দিনের ভারত বনধ ডাকা হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের প্রধান দাবি, সারনা ধর্মকে মান্যতা দিতে হবে। আগে দেশে ৩৮ শতাংশ মানুষ চিল এই ধর্মাবল্বী। কিন্তু বর্তমানে সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে ২৬ শতাংশে। তাদের অভিযোগ, সারনা ধর্মের মানুষদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ধর্মান্তর করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি, বিক্ষোভকারীদের আরও দাবি, ঝাড়খণ্ডের প্রধান ভাষা হিসেবে সাঁওতালিকে স্বীকৃতি দিতে হবে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলায় অযোধ্যা পাহাড়কে সরকার ঘিরে বলছে বলে অভিযোগ করে, তার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আদিবাসীদের দাবি, এই পাহাড় তাদেরকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন