জয়নগরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুনের বদলা নিতে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল দলুয়াখাকি গ্রামের একের পর এক বাড়ি। বাম, আইএসএফ-র পর সেই গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হলো কংগ্রেসকেও। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলেই পুলিশের দাবি।
ভস্মীভূত গ্রামের মহিলা এবং শিশুরা বাড়ি ফিরলেও এখনও পুরুষরা ফিরতে পারেননি। বর্তমানে গ্রামের ঠিক কী অবস্থা তা খতিয়ে দেখার জন্য শুক্রবার দলুয়াখাকিতে ঢুকতে চায় কংগ্রেস প্রতিনিধি দল। গ্রামে ঢোকার রাস্তা গাড়ি দিয়ে আটকে রাখে পুলিশ।
কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় বলেন, 'আমরা কি জঙ্গি না উগ্রপন্থী? আমরা তো এই পশ্চিমবঙ্গেরই জনগণ। তাহলে কেন গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। মমতা ব্যানার্জির চাকরে পরিণত হয়েছে পুলিশ। এতগুলো মানুষের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হলো পুলিশ তখন কিছু করতে পারলো না। সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তারপরেও আমরা গ্রামে যাবো না?"
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, তাঁরা ত্রাণ নিয়ে এসেছিলেন আক্রান্তদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। চাল, ত্রিপল, ডাল সহ বেশকিছু ত্রাণসামগ্রী রয়েছে। তাঁরা নিজেরা গিয়েই ত্রাণ দিতে চান। মাত্র চারজন প্রতিনিধি গিয়ে গ্রামবাসীদের সাথে দেখা করবেন এবং ত্রাণ তুলে দেবেন। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না।
পুলিশের দাবি, বহিরাগত কাউকেই গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলার কারণেই সকলকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কেউ ত্রাণ দিতে চাইলে প্রশাসনের কাছেই দিক। বিডিও-র কাছে দিক, তিনি গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছে দেবেন।
গত ১৪ তারিখেও গ্রামবাসী ও সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গাঙ্গুলি সহ একাধিক বাম নেতৃত্বকে দলুয়াখাকিতে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল পুলিশ। বাধ্য হয়ে জয়নগর থানায় অভিযোগ জানায় বাম প্রতিনিধি দল। পরে গ্রামবাসীদের ঢুকতে দিলেও বাম প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। একইভাবে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও ওই গ্রামে ঢুকতে গেলে তাঁকেও পুলিশি বাধার মুখে ফিরে যেতে হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন