পুরুলিয়ায় আদ্রায় তৃণমূল নেতা খুনে এক কংগ্রেস প্রার্থী সহ মোট দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা অবরোধের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। কোথাও বিরোধীদের কর্মী সমর্থকরা খুন হচ্ছেন তো কোথাও শাসক দলের কর্মী খুন হচ্ছেন। এই নিয়ে মোট ৯ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তৃণমূল পার্টি অফিসেই খুন হতে হয় আদ্রার তৃণমূল সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবেকে। গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। তৃণমূলের অভিযোগ, কংগ্রেস ষড়যন্ত্র করেই খুন করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে বেকো গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থী আর্শাদ হোসেন এবং মহম্মদ জামাল নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, তদন্ত সঠিক পথেই চলবে। ওই এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পার্টি অফিসের মধ্যে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তবে সেটি কাজ করে না।
তৃণমূল নেতা খুনের প্রতিবাদে আদ্রা স্টেশন রোড অবরোধ করে রেখেছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। নয়তো অবরোধ উঠবে না।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গতকাল সন্ধ্যা বেলায় নিরাপত্তা রক্ষী শেখর দাস সহ পার্টি অফিসের বারান্দায় বসে ছিলেন ধনঞ্জয়। এই শেখর আবার রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল। সেই সময় একটি মোটরবাইকে করে আসে দুষ্কৃতিরা। ৪-৬ রাউন্ড গুলি চালায় তারা। গুলিবিদ্ধ হুন ধনঞ্জয়। আহত হন শেখর। তৃণমূল টাউন সভাপতিকে রঘুনাথপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। শেখরকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখে বাইক ফেলেই পালায় দুষ্কৃতিরা। সম্ভবত নম্বর প্লেট বদলে খুনের ছক কষেছিল তারা। আপাতত জানা যাচ্ছে বাইকটি ঝাড়খণ্ডের।
পুরুলিয়ার কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, পুরুলিয়াতে এই ধরণের ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়। পুলিশের উচিত নিরপেক্ষ তদন্ত করা। আমি আশা করছি দোষীরা শাস্তি পাবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন