আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনী ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। প্রথম থেকেই সরব ছিল বামেরা। এই ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে মিছিল করেছে তারা। গ্রেফতারও হয়েছেন বহু। শুধুমাত্র বামেদের নিচুস্তরের কর্মী সমর্থকরাই নন। গ্রেফতার হয়েছেন বামপন্থী নেতারাও।
এবার তাদের পাশে দাঁড়াল কংগ্রেস। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সুর চড়াল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ঘটনার জন্য সরাসরি আঙুল তুলেছেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও শাসকদলের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে তিনি আনিসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। মৃত আনিসের পরিবারের পাশে থাকবে কংগ্রেস। এমনই আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, আনিসের মৃত্যুতে শোকাহত গোটা বাংলা। এই ঘটনায় কষ্ট পেয়েছেন বাংলার মানুষ। মানুষ জানতে চান ঘটনার নেপথ্যের রহস্য। কিন্তু সেসব ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। লুকোচুরি খেলা চলছে। বাংলার এক প্রতিবাদী যুবককে হত্যার ঘটনাকে তৃণমূল সরকার যেভাবে ধামাচাপা দিচ্ছে, তা লজ্জার। সবাইকে বোকা ভাবা হচ্ছে। পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কেনার চেষ্টাও চলছে। সরকার এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। দোষীরা মুক্তি পাবে না। আমরা আদালতে বিচার চাইতে যাব। মানবাধিকার কমিশনে যাব।'
তৃণমূলের উদ্দেশ্যে কটূক্তি করে বলেন, 'এটাই বাংলার তৃণমূলের আসল চেহারা। ভোটে মোদি-দিদি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে। মুসলমান এলাকায় মমতা রক্ষা করবেন বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চুপ কেন? ভোটের সময় মুসলমান, ভোট মিটলেই জাহান্নাম।
অতীতের উদাহরণ টেনে অধীর রিজওয়ানুর কাণ্ড খুঁচিয়ে তুলেছেন। রিজওয়ানুরের সময় যাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল, তাঁকেই কেন এই ঘটনার তদন্ত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এই ঘটনায় দেশের কাছে রাজ্যবাসীর মুখ কলঙ্কিত হয়েছে। একজন হোমগার্ড, একজন সিভিক ভলান্টিয়ার এই কাজ করেছে বলে কেউ বিশ্বাস করবে! তবে শুধু সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেসের প্রতিবাদ থেমে যাবে না। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা করে অধীর বলেন, আমরা মিছিল করব প্রকৃত হত্যাকারীকে গ্রেফতারের জন্য।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন