রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন দুর্নীতির যেসব অভিযোগ উঠেছে, তা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আমলে হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, সেসময় হয়েছে। তাই তিনিই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। প্রসঙ্গত, গত বেশ কয়েক দিনে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগের তদন্তভার নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আদালতের নির্দেশের পর কুণাল ঘোষ বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু পাশেই যে আছেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল বলেন, ‘যেসব কেলেঙ্কারির অভিযোগ আসছে, তার একটিও ব্রাত্য বসুর জমানায় হয়নি। এই জমানায় ৯৯ শতাংশ কাজ ঠিকঠাক হয়। কোথাও কোনও অভিযোগ থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে যা যা করা যায়, সব তিনি করে দিয়েছেন। এরপরেও কিছু থাকলে সেটা প্রশাসনিক বিষয়, আমার জানার বিষয় নয়।’ এরপরেই কুণালের সংযুক্তি, ‘দলের মহাসচিব তথা তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিস্তারিত বুঝিয়ে বলতে পারবেন।’
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইকে দিয়ে আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা চাইলে কোনও রাজনৈতিক বা প্রভাবশালী ব্যক্তিকেও জেরা করতে পারেন। এই দুর্নীতির মামলায় নাম উঠে এসেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্যর। তাঁর চেম্বারে কোনও বৈঠক হয়েছিল কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শুনানিতে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এসবের মধ্যেই কুণালের মন্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা। পার্থর সঙ্গে কুণালের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার নানা ইস্যুতে পার্থকে নিশানা করতে দেখা গিয়েছে কুণালকে। গত মঙ্গলবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে একটি ভুয়ো পোস্ট করেন পার্থ। যদিও নিজের ঘনিষ্ঠমহলে তিনি ভুল স্বীকার করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে পোস্টটি ডিলিট করে দেন।
তবুও তা নিয়ে সরব হন কুণাল। নাম না করে পার্থকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে কটাক্ষ করেন। টুইটারে লেখেন, ‘যে বা যাঁরা তাঁর মৃত্যুসংবাদ ছড়ালেন, আগ বাড়িয়ে শোক জানালেন, সেই দায়িত্বজ্ঞানহীনদের ধিক্কার জানাই। দুঃখপ্রকাশ করুন তাঁরা।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন