টাকা নিয়ে শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করলেন তৃণমূলেরই কর্মী সহ প্রতারিতরা। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অভিযোগও করেছেন তাঁরা।
রাজ্যে একের পর এক শাসক দলের নেতাদের দুর্নীতির খবর সামনে আসছে। শিক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসা বিভাগ সবক্ষেত্রেই চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে একাধিক মামলাও হয়েছে হাইকোর্টে। এবার সেই তালিকায় নাম জড়ালো নদীয়ার চাপড়ার তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুর রহমানের।
সূত্রের খবর, রুকবানুর চাকরি দেওয়ার নামে করে প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরেও তাঁরা চাকরি পাননি। উচ্চ-প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার জন্য ৪ জন ঐ বিধায়ককে টাকা দিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
রুকবানুরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীও এই একই অভিযোগ করেছেন। তাঁরা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী ও সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জীর কাছে চিঠিও লেখেন। চিঠিতে প্রতারণার বিষয় উল্লেখও করেছেন তাঁরা। প্রতারিতদের মধ্যে একজন বলেন, অভাবের সংসারে জমি বিক্রি করে, মহাজনের কাছ থেকে ধার নিয়ে সেই টাকা দিয়েছিলেন রুকবানুরের অফিসে। সেই টাকা নিয়েছিলেন বিধায়কের এক কর্মচারী। অভিযোগকারী এও জানিয়েছেন, এই টাকা ২০১৬ সালে দিয়েছিলেন তিনি। একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
এছাড়াও তিনি দাবি করেন, রুকবানুরের সাথে দেখাও করেন পরবর্তী সময়। কিন্তু রুকবানুর বলেছিলেন, অপেক্ষা করতে। চাকরি না পেলে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাসও দেন। কিন্তু চাকরিও মেলেনি টাকাও ফেরত পাওয়া হয়নি।
তৃণমূল বিধায়ক অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতারিতরা টাকা দিয়েছিলেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের কাছে। ঐ টাকা তিনি গ্রহণ করেননি। তাঁকে ফাঁসানোর জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে। তিনি এও দাবি করেন, চাপড়াতে এমন অনেক তৃণমূল নেতা আছেন যাঁরা চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলেন। বিধায়কের এমন মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে দল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন