গোরু পাচারকাণ্ডে জেল হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। জেলের ভিতর অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি আগেই পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা। এই প্রথমবার তাঁকে আসানসোলে গিয়ে জেরা করবে ইডি। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার রাতেই দিল্লি থেকে কলকাতায় হাজির হয়েছেন ইডির তিন আধিকারিক।
ইডি সূত্র মোতাবেক জানা গেছে, অনুব্রতর জন্য ৪ পাতার প্রশ্নের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে প্রায় ৫০ টি বাঘা বাঘা প্রশ্ন। অনুব্রতর ঘনিষ্ঠমহলের বিভিন্ন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে প্রচুর তথ্য উঠে এসেছে ইডি আধিকারিকদের কাছে। এবার সেই তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার আসানসোল সংশোধনাগারে অনুব্রতর মুখোমুখি হয়েছেন গোয়েন্দারা।
গোরু পাচারের মাধ্যমে যে কোটি কোটি টাকা আর্থিক লেনদেন হত এবং তা এনামূল হকের কাছেই এসেছিল, সেটা নিজের বয়ানে স্পষ্ট করেছেন এনামূল। কিন্তু সেই টাকা (Protection Money) অনুব্রত মণ্ডল কোথায় রেখেছেন তা জানতে চায় ইডি। অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে একাধিক চালকল এবং বেসরকারি সংস্থার হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
এছাড়াও তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস, একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্ন তাঁকে করা হতে পারে বলেই জানা গেছে। ইডি সূত্রের খবর অনুযায়ী, তদন্তে অনুব্রত মণ্ডল কোনওরকম অসহযোগিতা করলে তা আদালতে জানানো হবে। প্রয়োজনে তাঁকে দিল্লিতে ইডির সদর দপ্তরে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হতে পারে।
সম্প্রতি, লটারি কাণ্ডের তদন্তে নেমে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই-র হাতে। গোয়েন্দা আধিকারিকদের দাবি, এখনও পর্যন্ত অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ের অ্যাকাউন্টে ৫ বার লটারি জেতার টাকা ঢুকেছে। শেষবারের টাকার পরিমাণ ৫০ লক্ষ।
অন্যদিকে, গোরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের তিনটি ব্যাঙ্কের আটটি অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থের হদিশ পেয়েছে সিবিআই। গত ৪ বছরে সেখানে জমা পড়েছে ১৬ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। যার জেরে কার্যত অস্বস্তিতে ভুগছেন কেষ্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন