উপনির্বাচনে নতুন চমক। ৩২ বছর চন্দননগর কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে জয়ী হলেন সিপিআই(এম) প্রার্থী অশোক গাঙ্গুলী।
চন্দননগর পুরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডটি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের দখলে ছিল। এবার সেখান থেকেই জয় ছিনিয়ে নিল সিপিআই(এম)। ভোটের আগেই ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মৃত্যুর কারণে ভোট বাতিল হয়ে গিয়েছিল। বুধবার উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গেছে ১৩০ ভোটে জিতেছেন সিপিআই(এম) প্রার্থী অশোক গাঙ্গুলী। এই জয়ের পর চন্দননগর পুরনিগমের দুটি ওয়ার্ড এখন বামেদের দখলে।
এ প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী জানান, "চন্দননগরের কমরেডরা ফোন করেছিলেন। ওরা খুব খুশি। ওখানকার কর্মীরা খুব ভালোভাবে কাজ করেছেন। লোকের সঙ্গে নিত্য সম্পর্ক রেখেছেন। চন্দননগরেরও নিজস্ব টাইপ কালচার আছে। আমি ওখানকার সমস্ত মানুষকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এটা যেন সবাই বোঝেন যে, মানুষের ভরসায় আমাদের চলা এবং আমাদের মানুষকে ভরসা করা দুটোই পারস্পারিকভাবে জরুরি।"
তিনি আরও বলেন, "যেভাবে দিল্লি চলছে, যেভাবে রাজ্য চলছে, মানুষ বিরক্ত এবং বিপর্যস্ত। খানিকটা হলেও সেদিক থেকে এগোনো যাচ্ছে। এটা নিশ্চয়ই একটা বাড়তি ভরসার দিক। বামপন্থার আসলে কোনও বিকল্প থাকতে পারে না।"
অন্যদিকে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার উপনির্বাচনে ২ নং ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। ঝালদা পুরসভা নির্বাচনে আগেও জয়ী হয়েছিলেন তপন কান্দু। কিন্তু নির্বাচনের পরেই খুন হতে হয় তাঁকে। এবার একই ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু ৭৭৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
তৃণমূল প্রার্থী জগন্নাথ রজককে হারানোর পর মিঠুন কান্দু জানান, "এই জয় প্রত্যাশিত। আমাকে নয়, এই ওয়ার্ডের মানুষ আমার কাকাকে (তপন কান্দু) জিতিয়েছেন। সবাইকে অভিনন্দন। এই জয় উৎসর্গ করলাম কাকাকেই।"
এ প্রসঙ্গে তপন কান্দুর স্ত্রী জানান, "আজ আমি খুব খুশি। তৃণমূল ওঁকে (তপন) পুরপ্রধান হতে দেবে না বলে খুন করেছিল। তার পর নিজেরাই ভোটের আয়োজন করল। কিন্তু এই ওয়ার্ডের মানুষ তার যোগ্য জবাব দিলেন। এই জয় ২ নম্বর ওয়ার্ডের (ঝালদার) মানুষের জয়। আমার স্বামীর জয়।"
অন্যদিকে পানিহাটি পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। ওই আসনেও পুনরায় উপনির্বাচন হয়েছে। উপনির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেছিলেন অনুপম দত্ত-র স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। ২২৭৮ ভোটে জিতেছেন মীনাক্ষী। ভোটে জিতে মীনাক্ষী বলেছেন, "এটা অনুপমের প্রতি মানুষের ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ৷"
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের পুরভোটে ত্রিশঙ্কু হয়েছিল ঝালদা পুরসভা। ৫ টি ওয়ার্ড কংগ্রেস, ৫ টি ওয়ার্ড তৃণমূল ও ২ টি ওয়ার্ড নির্দলরা দখল করে। নির্দলের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠনের উদ্যোগী হয়েছিল কংগ্রেস। তারপরেই খুন হন কংগ্রেসের ৪ বারের কাউন্সিলর তপন কান্দু।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন