বন্যাত্রাণ দুর্নীতির খেসারত দিতে হলো তৃণমূলকে। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিআইএম-কংগ্রেস বোর্ড গঠন করে এমনটাই দাবি করছে। মানুষের রায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে গেছে বলেই জানিয়েছে তারা।
বন্যাত্রাণ দুর্নীতিতে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম। দুর্নীতির দায়ে জেল খেটেছিলেন তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনামণি সাহা। প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল এই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।
সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বন্যা-ত্রাণ দুর্নীতি ইস্যুকেই হাতিয়ার করেছিল বিরোধীরা। সেই ইস্যুতেই বাজিমাত। ২৬ আসন বিশিষ্ট বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০টি আসনে জয় পায় কংগ্রেস, ৬টি আসন জেতে সিপিআইএম ১টিতে নির্দল এবং ৯টি আসন জেতে তৃণমূল।
চলতি মাসের ৯ তারিখ বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া ছিল বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতে। কিন্তু ওইদিন বোর্ড গঠন করা যায়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী এক সদস্য বলেন, "ওই দিন সিপিআইএম-কংগ্রেস ও নির্দল প্রার্থী মিলিয়ে মোট ১৭ জন সদস্য আসি বোর্ড গঠনের জন্য। কিন্তু তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী আমাদের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে সমস্ত কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। যদিও প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকায় আজ এই বোর্ড গঠন সফল হয়েছে। চোরেদের বিপক্ষে মানুষ রায় দিয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের বেশিরভাগ সদস্যদের প্রলোভন দেখিয়েছিল তৃণমূল। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সদস্যরা কোনো প্রলোভনে পা দেননি। প্রধান হয়েছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এবং উপপ্রধান হয়েছে সিপিআইএম-র তরফ থেকে।"
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এদিন মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রধান এবং উপ-প্রধান পদে জোটের পক্ষে ভোট পড়ে ১৭টি। জোটের দখলেই যায় পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত দপ্তরের বাইরে সেই খবর আসতে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে কর্মী সমর্থকরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন