দীর্ঘ ১৪ দিন পর অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরি সহ অন্যান্য সিপিআইএম কর্মীরা। গত ৩১ আগস্ট বর্ধমানে ‘চোর ধরো জেল ভরো’ দাবিতে বামেদের ডাকা আইন অমান্য কর্মসূচি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আভাস রায়চৌধুরী সহ ৪৬ জন সিপিআইএম নেতা কর্মীকে।
৩১ আগস্টের সেই কর্মসূচি থেকে গ্রেপ্তার হন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরি, এসএফআই-র জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরি সহ মোট ৪৬ জন।
আইন অমান্যকে ঘিরে বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রুজু করা হয়। তার মধ্যে একটির অভিযোগকারী ছিলেন বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী। অপর অভিযোগটি করেন এক তৃণমূল কর্মী।
সিপিআইএম-এর অভিযোগ, বর্ধমান থানার আইসি-র অভিযোগের ভিত্তিতে সরকারি কর্মচারীকে কাজে বাধা দেওয়া, মারধর, চুরি, ভাঙচুর, গালিগালাজ, খুনের চেষ্টা ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর প্রভৃতি একাধিক ধারায় সিপিআইএম কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়।
গত ৩১ আগস্ট বামেদের 'আইন অমান্য' কর্মসূচী ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পূর্ব বর্ধমান। পুলিশের সাথে বামপন্থী নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয় কার্জন গেট চত্বর। উপড়ে ফেলা হয় বিশ্ববাংলার লোগো। ভেঙে ফেলা হয় ব্যারিকেড। এরপরেই কার্জন গেটের কাছেই সিপিআই(এম) কর্মী-সমর্থকদের মিছিলের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। কার্জন গেট চত্বর থেকে সিপিআইএম নেতা আভাস রায়চৌধুরী সহ শতাধিক বাম কর্মী সমর্থককে আটক করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম অভিযোগ করেন, "পুলিশ কোনও প্রোটোকল মানেনি। আমরা পুলিশকে বলেছি, আপনাদের দেখলেই মানুষ রেগে যাচ্ছে। কে চুরি করেছে সেটা পুলিশ দেখে না। পুলিশ তো লুকিয়ে ছিল। তারপর পুলিশ কাঁদানে সেল ছোঁড়ে, লাঠিচার্জ করে। চার্জ চার্জ বলে প্রোভোক করছিল পুলিশ।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন