একেই বোধহয় বলে উলট পুরাণ। গোটা জেলা যেখানে সবুজ আবির উড়ছে, চারদিকে শুধু ঘাস ফুল। সেখানে রামপুরহাটের মাত্র একটি ওয়ার্ডে লাল আবির উড়তে দেখা গেল। টক্কর দিল বামেরা। ছিনিয়ে নিল একটি ওয়ার্ড। অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে নিজেদের অস্তিত্ব জিইয়ে রাখল কাস্তে হাতুড়ি তারা।
রামপুরহাটের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিআইএম প্রার্থী সঞ্জীব মল্লিক ১৫৩ ভোটে তৃণমূল প্রার্থী আবদুল মালিককে পরাজিত করেন। তাঁর ঝুলিতে এসেছে ১২৬৭ ভোট। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ১১১৪, বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৫৭। প্রসঙ্গত, সঞ্জীব মল্লিক আজ জেল হেফাজত থেকে জামিনে ছাড়া পাবেন। রবিবার ভোটের দিন ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
একবার দেখে নেওয়া যাক, কোন পুরসভায় ক'টি আসনে জয় পেল তৃণমূল? বোলপুর ১০টি, সাঁইথিয়া ১৪টি, দুবারাজপুর ৫টি, সিউড়ি ১৫টি, রামপুরহাটে ৫টি আসনে আগেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। বীরভূমের পাঁচটি পুরসভা, বোলপুরে ২২টিতেই জয়ী তৃণমূল। সিউড়ি পুরসভার ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টি, সাঁইথিয়া পুরসভার ১৬ টি আসনই নিজেদের পকেটস্থ করে শাসক দল। রামপুরহাট পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ড, দুরাবরাজপুর পুরসভা ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টিতে তৃণমূল জয় পেয়েছে।
তবে অনুব্রত গড়ে নিজেদের উপস্থিতি কায়েম করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। যেভাবে পুরভোটের আগে বিজেপিতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছিল, তাতে ফলাফল এরকমই হওয়ার ছিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বীরভূমের রামপুরহাটে বিজেপিতে ভাঙন ধরে। প্রায়শই তৃণমূলে যোগদান পর্ব চলত। পুরভোটের মুখে বিজেপি যুবমোর্চার রামপুরহাট শহরের সহ-সভাপতি নিত্যকালী মণ্ডল তৃণমূলে যোগ দেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন