গত দুবছর আগে শুরু হওয়া রাজ্যজুড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমেছি যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের শাসক দল তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বহু হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বহু মন্ত্রীরা। নিয়োগ দূর্নীতির তদন্তে নেমে ইডি সিবিআই উদ্ধার করেছে কোটি কোটি টাকা। বর্তমানে বিচারাধীনে রয়েছে এই মামলা।
আর এরই মধ্যে আগামী ৯ ডিসেম্বর হাজারতম দিন পূরণ করতে চলেছে চাকরিপ্রার্থীদের এই অবস্থান বিক্ষোভ। চাকরিপ্রার্থীদের লড়াইয়ের প্রতি সংহতি ও সহমর্মিতা জানাতে আগামী ৯ ডিসেম্বর, শনিবার ধর্মতলায় মিছিল করতে চলেছে সিপিআই(এম)। শনিবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানান, ওই দিন ধর্মতলার লেলিন মূর্তির সামনে জমায়েত করা হবে। এরপর দুপুর ২ টো নাগাদ শুরু হবে এই মিছিল। শেষ হবে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত সভা হবে বলেও জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, যোগ্য চাকরির দাবিতে বিগত বহু দিন ধরে মেয়ো রোডে এবং রেড রোডের সংযোগস্থলে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ করে চলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, রাজ্যের শাসক দল তাঁদের চাকরি লুঠ করেছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা আপাতত জেলবন্দি। তাঁদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে টাকার পাহাড়। কিন্তু এখনও প্রাপ্য চাকরি পাননি আন্দোলনকারীরা। তাই লড়াইয়েও তাঁরা অনড়।
বিমান বসুর কথায়, “রোদ-ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তায় বসে প্রতিবাদে অবস্থান করছেন যোগ্য প্রার্থীরা। তাঁদের প্রতি সংহতি ও সহমর্মিতা জানাতে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে মিছিল সংগঠিত করা হবে শনিবার। রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠকে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বামফ্রন্টের বৈঠকে এছাড়াও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলায় জেলায় বামফ্রন্টের সভা করে জেলার অভ্যন্তরে স্থানীয় সমস্যাগুলি নির্দিষ্ট করা হবে এবং তারপরে রাজ্যস্তরে গৃহীত প্রচার আন্দোলনের কর্মসূচির সঙ্গে জেলাগুলির সমস্যাকে যুক্ত করে স্থানীয় ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়া হবে।“
বিমান বসু এদিন আরও জানান, “আগামী ৬ ডিসেম্বর, বুধবার থেকে ১০ ডিসেম্বর, রবিবার পর্যন্ত জেলায় জেলায় সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী সম্প্রীতির কর্মসূচি ও মানবাধিকার রক্ষার দাবিতে কর্মসূচি পালন করা হবে পথসভা, মিছিল, সেমিনার ইত্যাদি সংগঠিত করার মধ্য দিয়ে। ছোট মিছিল ও পথসভা করে সাম্রাজ্যবাদী ইজরায়েলী হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচিও পালন করা হবে। ভোটার তালিকায় নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা এবং ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার কাজে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে। জাতিভিত্তিক জনগণনা ও আর্থ-সামাজিক সমীক্ষার দাবিও তোলা হবে অন্যান্য দাবির সঙ্গে।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন