দশে ১০ কর্মসূচির দিন ও স্থান ঘোষণা করলো সিপিআইএম। আর এই সভাগুলির মাধ্যমেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিতে চাইছে বামেরা।
কোথায় কবে কবে সভা করা হবে তা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে সিপিআইএম। সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ৯ মার্চ ফুলবাড়ী এবং লাউহাটিতে। ফুল বাড়ীরর সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মদম্মদ সেলিম। লাউহাটিতে থাকবেন, সুজন চক্রবর্তী, তুষার ঘোষ, প্রতীকউর রহমানরা।
১০ মার্চ সাতটি জায়গায় বড় বড় সভা করবে বামেরা। ভগবান গোলা, কৃষ্ণনগর, সিঁথি, বুদবুদ, বৈদ্যপুর, রামপুরহাট এবং উলুবেড়িয়াতে সভা রয়েছে বামেদের। মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন মহম্মদ সেলিম। নদীয়ার কৃষ্ণনগরে থাকবেন মীনাক্ষী মুখার্জি, কনীনিকা বোস ঘোষ। সিঁথিতে বক্তব্য রাখবেন পলাশ দাশ, মীনাক্ষী মুখার্জি। বর্ধমানের বুদবুদে বক্তব্য রাখবেন আভাস রায় চৌধুরী, দীপ্সিতা ধর। বর্ধমানের বৈদ্যপুরের সভায় প্রধান বক্তা হিসেব থাকবেন, শতরূপ ঘোষ, অমল হালদার। বীরভূমের রামপুরহাটে থাকবেন সুজন চক্রবর্তী, ধ্রুবজ্যোতি সাহা, রামচন্দ্র ডোম। উলুবেড়িয়ার সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন বিমান বসু।
১১ মার্চ সন্দেশখালি এবং মেখলিগঞ্জে সভা করবে সিপিআইএম। সন্দেশখালিতে বক্তা হিসেবে থাকবেন সুজন চক্রবর্তী, দেবলীনা হেমব্রম, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং নিরাপদ সরদার। মেখলিগঞ্জে বক্তা হিসেবে রাখা হয়েছে মীনাক্ষী মুখার্জিকে।
বামেদের দাবি, গোটা রাজ্যে সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি, দুষ্কৃতীরাজের বিরুদ্ধে চলছে নীবিড় প্রচার চালাতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্র এই প্রচারাভিযান চালাবে বামেরা।
উল্লেখ্য, ১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে এই সমাবেশের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে 'জনবর্জন সভা'। আগেই ওই দিন একাধিক বড় সভা করার কথা ঘোষণা করেছিল সিপিআইএম।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন