বৃহস্পতিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। পঞ্চায়েত হবে ৮ জুলাই। পঞ্চায়েতের জন্য সিপিআইএম প্রস্তুত বলেই দাবি করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। পাশপাশি নির্বাচন কমিশনারকে অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করারও আর্জি জানিয়েছেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের তারিখের জন্য প্রথম থেকেই সুর চড়াচ্ছিল বামেরা। তাঁরা 'চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি চ্যালেঞ্জ নাও, পঞ্চায়েতের তারিখ দাও' এই স্লোগানকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় সমাবেশ করছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হতেই মহম্মদ সেলিম একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, আমরা মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে স্বাগত জানাচ্ছি পঞ্চায়েতের তারিখ ঘোষণার জন্য। তবে এই দ্রুত গতির সাথেই যদি তিনি দায়িত্ব পালন করেন তাহলে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে।
নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কার্যত অসন্তুষ্ট বাম সহ একাধিক বিরোধী দল। সেলিম বলেন, অতি দ্রুততার সাথে মনোনয়নের দিনও ঘোষণা করেছেন তিনি। তাহলে নির্বাচনের ফল ঘোষণা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের উচিত ভোট কর্মী, প্রার্থী সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তিনি আরও বলেন, মানুষের মেজাজ বুঝতে হবে। চোর, লুঠেরাদের তাড়িয়ে মানুষ পঞ্চায়েতটাকে আবার তাদের হাতে পেতে চাইছে। সরকার চাইলেই পঞ্চায়েত পিছিয়ে দিতে পারে না। ২০১৩ সালেও আদালতে গিয়ে তারপর নির্বাচন করতে হয়েছিল। মানুষ নিজের ভোট নিজে দেবেন। আর মানুষই সেই ব্যবস্থা করবেন। বামপন্থীরা তাঁদের পাশে থাকবে। আর মানুষকে দায়িত্ব নিতে হলে সরকারের পক্ষে সেটা ভালো হবে না। বিজেপি ও তৃণমূলকে পরাজিত করার প্রথম ধাপ হচ্ছে পঞ্চায়েত। বিজেপি-তৃণমূল বিরোধী সমস্ত শক্তিকেও একসাথে লড়াই করার আহ্বান জানাচ্ছি।
পাশাপাশি সেলিম বলেন, মানুষ নিজের ভোট নিজে দেবেন এখানে দুষ্কৃতিদের প্রয়োজন কী? এরা সাহস পেয়েছে দুর্নীতির মাধ্যমে আয় হওয়া টাকার মাধ্যমে। এরা চায় জাত-পাত, ধর্ম-বর্ণ দিয়ে মানুষকে ভাগ করতে চাইছে। বাংলা থেকে শ্রমিকরা পরিযায়ী হয়ে অন্য রাজ্যে যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে বিজেপির অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। কখনও রেললাইনে তাদের ওপর দিয়ে ট্রেন চলে যায় আবার কখনও করোমন্ডল এক্সপ্রেসের মতো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারাতে হবে। এই সবের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন