জয়নগরে ঘরছাড়া সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের গ্রামে ফেরাতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়লেন সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গাঙ্গুলি, শমীক লাহিড়ি সহ একাধিক বাম নেতৃত্ব। শুধু তাই নয় পুলিশের বাধার মুখে গ্রামেই ফিরতে পারলেন না ঘরছাড়া মহিলা ও শিশুরা। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় এই বাধা বলে দাবি পুলিশের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সাইফুদ্দিন লস্কর খুনের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দলুয়াখাকি গ্রাম। যেটি ঘটনাস্থল থেকে ৫ কিমি দূরে অবস্থিত। ওই গ্রামে একের পর এক সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। সবকিছু হারিয়ে দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নেন আক্রান্ত সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা। মঙ্গলবার তাঁদের বাড়ি ফেরাতে যান সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গাঙ্গুলিরা। কিন্তু গ্রামে ঢোকার ৩ কিমি আগেই পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন তাঁরা।
পুলিশ এবং সিপিআইএম নেতৃত্বের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ বচসা এবং ধাক্কাধাক্কিও হয়। সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'মহিলা পুলিশ ছাড়াই মহিলাদের ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ গাড়ি দিয়ে পথ আটকে রেখেছে। পুলিশ অপরাধীদের ধরার বদলে সাধারণ মানুষদের নিজেদের বাড়ি যেতে দিচ্ছে না। অনেক শিশুও রয়েছে'।
ঘড়ছাড়া এক মহিলা সিপিআইএম সমর্থক বলেন, "আমাদের থাকার জায়গাটুকুও নেই। সবকিছু পুড়িয়ে দিয়েছে। এই পুলিশের উপস্থিতিতেই আগুন লাগিয়েছিল। তখন পুলিশের পায়ে ধরে বলেছিলাম আমাদের সাহায্য করুন। পুলিশ চুপ করে ছিল। এখন ঢুকতে দিচ্ছে না। যে পুলিশ আমাদের রক্ষা করেনি তাদের ভরসা করবো কীভাবে?"
যদিও এক পুলিশ আধিকারিক জানান, 'পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত রয়েছে তাই বাইরের লোকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যাঁরা গ্রামের বাসিন্দা তাঁদের সকলকে নিজের দায়িত্বে গ্রামে পৌঁছে দেবো। কিন্তু ওনাদের আড়াল করে যাঁরা ঢুকতে চাইছেন তাঁদের ঢুকতে দেবো না'।
পুলিশের বাধা পেয়ে ঘরছাড়াদের নিয়ে জয়নগর থানায় যান বাম নেতৃত্ব। সেখানে গিয়ে একাধিক অভিযোগ দায়ের কথা জানান সিপিআইএম নেতৃত্ব। ৩ দিনের মধ্যে পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে 'সর্বশক্তি' দিয়ে গ্রামে ঢুকবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন