পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা তৃণমুল শিবিরে, মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির সব আসনে জয়ী বামেরা

হুগলীর বাঁশবেড়িয়ায় ঈদ মহম্মদ হাই মাদ্রাসায় পরিচালন সমিতি নির্বাচনে ৬ টি আসনেই জয়ী হয়েছেন বামপন্থীরা। একটিও আসন পায়নি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।
বাঁশবেড়িয়ায় ঈদ মহম্মদ হাই মাদ্রাসায় পরিচালন সমিতি নির্বাচনে ৬ টি আসনেই জয়ী হয়েছেন বামপন্থীরা
বাঁশবেড়িয়ায় ঈদ মহম্মদ হাই মাদ্রাসায় পরিচালন সমিতি নির্বাচনে ৬ টি আসনেই জয়ী হয়েছেন বামপন্থীরাছবি সংগৃহীত
Published on

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলকে হারিয়ে হুগলীর বাঁশবেড়িয়ায় মাদ্রাসা নির্বাচনে জয়ী হল বামপন্থীরা। একটিও আসন পায়নি শাসক দল। ৬ টি আসনেই জয়ী হয়েছেন বামপন্থীরা।

২৫ ডিসেম্বর, রবিবার বাঁশবেড়িয়া ঈদ মহম্মদ হাই মাদ্রাসায় পরিচালন সমিতির নির্বাচন হয়। বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের এই হাই মাদ্রাসায় মোট ১৩০৮ জন ভোটার। এর মধ্যে ভোট দেন ৬৭৭ জন অভিভাবক। সন্ধ্যার পর শুরু হয় ভোট গণনা, চলে সাড়ে দশটা পর্যন্ত। গণনা শেষে দেখা যায় বামপন্থী ছয় জন প্রার্থীই জয়ী হয়েছেন। তৃণমূল একটিও আসন পায়নি। এর আগে ছয়জন সদস্যই ছিল তৃনমূলের। বর্তমান জয়ীদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন।

শাসকদলকে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি বামপন্থী প্রার্থীরা।পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই জয় বামেদের বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।জয়ের পর সিপিআই(এম) নেতা জুলফিকার আলি বলেন, “মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিকঠাক চলছিল না। অনেক অভিযোগ ছিল। সেগুলো নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে প্রচার করা হয়। মানুষ বুঝতে পেরেছেন যেভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা হচ্ছিল তার পরিবর্তন হওয়া দরকার।“

তিনি আরও বলেন, ‘এই জয় কোনো দলের জয় না। মাদ্রাসার অভিভাবকদের জয়। সবাইকে নিয়ে স্কুলের উন্নতি করাই এই জয়ের লক্ষ্য।' মাদ্রাসার এই ফল পঞ্চায়েতে প্রভাব ফেলবে বলে দাবি জুলফিকার আলির। তিনি বলেন, যে ভাবে শিক্ষায় দূর্নীতি হয়েছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা জেলে গেছেন, মানুষ সব বুঝতে পারছেন।

চলতি বছরেরই পৌরসভা নির্বাচনে বাঁশবেড়িয়ায় বিপুল জয় হয় তৃণমূলের। তাহলে মাদ্রাসায় এমন ভরাডুবি হল কেন? সে প্রশ্নই ভাবাচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে।এর কারণ হিসেবে গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাজা চট্টোপাধ্যায়ের কথায় তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে।তিনি বলেন, 'মাদ্রাসা নির্বাচনের দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হয়নি। বিধায়ক দেবরাজ পালকে দেওয়া হয়েছিল। কেন এই পরাজয় হল উনিই বলতে পারবেন।'   

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in