পুলিশের ছোঁড়া কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক বাম সমর্থকের। মঙ্গলবার বহরমপুরে বাম শ্রমিক ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের ডাকে আইন অমান্য কর্মসূচী ও বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন পুলিশের ছোঁড়া কাঁদানে গ্যাসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওইদিন রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত বাম কর্মীর নাম আনারুল ইসলাম। তিনি ডোমকলের সারাংপুর অঞ্চলের সাহাবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।
মঙ্গলবারের ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ আনারুলকে প্রথমে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পরে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে রেফার করা হয় বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে নিয়ে আসার সময় পথেই মৃত্যু হয় বাম কর্মীর।
পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা করে সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, “সাধারণ মানুষের দাবি আদায়ের প্রশ্নে যে কোনও আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট ভূমিকায় আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূলী পুলিশ। মানুষ গণপ্রতিরোধের মধ্যে দিয়ে তাদের ন্যায্য অধিকার রাস্তাতেই বুঝে নেবে।”
তিনি আরও বলেন, “মোদী সরকারের পুলিশ কৃষকদের দিল্লি অভিযানে লাঠি চালাচ্ছে, আর এখানে মমতা সরকারের পুলিশও একইভাবে শ্রমিক কৃষক ক্ষেতমজুরদের ওপর লাঠি, কাঁদানে গ্যাস চালাচ্ছে।”
ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিআইএম-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সন্দেশখালিকাণ্ড সহ একাধিক ইস্যুতে বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে সিপিআইএমের ক্ষেতমজুর সংগঠন ও শ্রমিক সংগঠনের আইন অমান্য অভিযান ছিল গতকাল। অভিযোনের আগে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সভা শেষে দলীয় কর্মী সমর্থকরা মিছিল করে আইন অমান্য কর্মসূচি শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশি ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করতেই তাঁদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। বেধড়ক লাঠিচার্জ করা হয়। ঘটনায় একাধিক বাম কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে ১৬ জনকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন