আগামী ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে সভা করার জন্য পুলিশি অনুমতি চেয়েছে সিপিআইএম। ঘটনাচক্রে ওই দিনই ব্রিগেডে তৃণমূলের সমাবেশ রয়েছে। সন্দেশখালিতে সভার অনুমতি পুলিশ না দিলেও বামেরা অনড় রয়েছে সভা করার সিদ্ধান্তে।
৫৩ দিন পার। এখনও অধরা সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। দিনের পর দিন ক্ষোভ বাড়ছে সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের মধ্যে। এরই মধ্যে ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে সভা করার পরিকল্পনা করেছে সিপিআইএম। সূত্রের খবর, রবিবার পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছে বামেরা।
যদিও পুলিশের তরফ থেকে সভা করার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রশাসন জানিয়েছে সন্দেশোখালির পরিস্থিতি এখনও ঠিক হয়নি। সবকিছু শান্ত হওয়ার পর সভার অনুমতি নিয়ে ভাবা যাবে। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, পুলিশের দাবি মানতে নারাজ বাম নেতৃত্ব। তাঁরা ওই দিনই সভা করবেন সন্দেশখালিতে।
আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাবে সিপিআইএম প্রতিনিধি দল। সেই দলে থাকতে পারেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এছাড়া মঙ্গলবার বামপন্থী অভিনেতা, বুদ্ধিজীবীরা যেতে পারেন সন্দেশখালি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবারই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি। নির্যাতিত পরিবারগুলির বাড়িতে গিয়ে তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন তিনি। পরে মাঝেরহাটে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় মীনাক্ষীকে। বেআইনিভাবে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এবং শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে বসিরহাট এসপি অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছে বামেদের যুব সংগঠন। আগামী ২ মার্চ হবে সেই অভিযান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন