“দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে এখন আর নারদা কাণ্ডে ঘুষের টাকাই দেখতে পাচ্ছেন না বিচারপতি! আগে কখনও শুনিনি চোরের সাক্ষী বিচারপতি।“ অভিজিৎ গাঙ্গুলির বিজেপিতে যোগদানকে কটাক্ষ করে এই মন্তব্য করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি। এরপর সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে নারদা ঘুষকাণ্ডকে চক্রান্ত বলে দাবি করেন অভিজিৎ। যেখানে বর্তমান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল।
অশোকনগরের মিলন সঙ্ঘ মাঠ থেকে এক সমাবেশে অভিজিৎ গাঙ্গুলির এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন সেলিম। তিনি বলেন, “তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের কাগজে মুড়ে, তোয়ালেতে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল নারদাকাণ্ডে। তখন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে ছিলেন। এখন তিনি বিজেপি’তে গিয়ে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা বিচারপতি এখন বলছেন, কাগজের মধ্যে, তোয়ালের মধ্যে টাকা ছিল কেউ দেখেছেন কি? উনি এখন চক্রান্ত দেখছেন।“
সেলিম বলেন, “মনে করে দেখুন নারদকাণ্ডের পর বিজেপি নিজের দপ্তরে স্ক্রিন টাঙিয়ে ওই ভিডিও দেখিয়েছিল। সবাই দেখেছেন, ঘুষ দিতে আসা ছদ্মবেশীকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছিল কত টাকা আছে? জবাব মিলছিল ৫ লক্ষ টাকা আছে। এখন বিচারপতি বলছেন ওই প্যাকেটের মধ্যে টাকা ছিল আপনি জানলেন কী করে! কখনও শুনিনি চোরের সাক্ষী বিচারপতি।“
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক আরও বলেন, “আর.এস.এস বা সঙ্ঘ পরিবার প্রশাসন এবং বিচারবিভাগ সহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানে নিজেদের লোক ঢুকিয়ে রাখে। তারা নানা কায়দায় কাজ করে। মানুষ যখন এরাজ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব, তখন এই সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই একজনকে ঘিরে যাবতীয় নজর গড়ে তোলা হয়। এমন দেখানো হয় তিনিই সব সমাধান করবেন। এরপর তিনি এক শাখা থেকে আর এক শাখায় চলে যান, যেমন বিচারবিভাগ থেকে সংসদ, কিন্তু মানুষের যন্ত্রণার কোনও উপশম হল না। তাই আমরা বলি আসল সমাধান রাস্তায়, মানুষের সমাবেশে। আমরা বলি, গ্রাম জাগাও চোর তাড়াও।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন