দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে বিকল্প পঞ্চায়েত চালানোর ডাক দিয়েছে সিপিআইএম। সেই জন্যই নির্বাচনে লড়া সিপিআইএম প্রার্থীদের দলের তরফ থেকে শংসাপত্র তুলে দিলেন সুজন চক্রবর্তী, শমিক লাহিড়ীরা।
অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হলো বামেদের তরফ থেকে। তাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষের রায়ে অনেকেই জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু প্রশাসন ও তৃণমূল মিলে জয়ী সিপিআইএম প্রার্থীদের শংসাপত্র আটকে রাখা হয়েছে নয়তো তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সমস্ত সিপিআইএম প্রার্থীদের শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে।
শংসাপত্রের পাশাপাশি লেটারহেড দেওয়া হয়। শংসাপত্রে লেখা রয়েছে, আপনি জিতেছেন। প্রশাসন আপনাকে সার্টিফিকেট দেয়নি। পাঁচ বছর আপনারা মানুষের রায়ে নির্বাচিত সদস্য হিসেবে কাজ করবেন।
সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ভোট লুট করে, গণনায় কারচুপি করে তৃণমূল পঞ্চায়েত জিতেছে। ৫ বছর ধরে পঞ্চায়েতের টাকা লুঠ করার জন্যই বিরোধী প্রার্থীদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রার্থীরা পঞ্চায়েত সদস্যদের মতো করেই মানুষের পাশে থাকবেন, তাঁদের জন্য কাজ করবেন। মানুষের জন্য চালানো হবে বিকল্প পঞ্চায়েত।"
সিপিআইএম-র আরেক নেতা শমীক লাহিড়ী বলেন, 'চোর লুটেরাদের পঞ্চায়েত চালাতে দেবে না মানুষ। পাঁচ বছর শান্তিতে ঘুমাতে দেব না দুর্নীতিগ্রস্তদের। এই বার্তা দিতেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের প্রার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করেছেন। মানুষের ভোটে তাঁরা জয়লাভও করেছেন কিন্তু হারিয়ে দেওয়া হলো'।
উল্লেখ্য, সোনারপুরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কালিকাপুর ১, কালিকাপুর ২ এবং প্রতাপনগর গ্রামপঞ্চায়েতের ৫২ জন, পঞ্চায়েত সমিতির ৯ জন এবং জেলাপরিষদের ১ জন প্রার্থীর হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন