নদীয়ার তেহট্ট সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল সিপিআইএম। তৃণমূল-বিজেপি কেউই এই নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারেনি। যা পঞ্চায়েত ভোটের আগে দুই ফুলের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনীতিবিদরা।
নদীয়ার তেহট্ট এক নম্বর ব্লকের চাঁদেরঘাট সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের নির্বাচন ছিল রবিবার। আসন সংখ্যা ছিল ৪৯ টি। সবকটি আসনে জয়ী হয় সিপিআইএম প্রার্থীরা। তৃণমূল বিজেপি উভয় দলই প্রার্থী দিতে পারেনি। তৃণমূল সংসদ মহুয়া মৈত্রের গড়ে কিভাবে সিপিআইএম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিভাবে জিতল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তায় পড়েছে শাসক দল।
গত ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়। ২৫ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ১৫ দিন সময় পেলেও তৃণমূল বা বিজেপির পক্ষ থেকে কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেননি। ফলে একপ্রকার নিশ্চিত ছিল ওই সমবায় সমিতি সিপিআইএমের দখলেই থাকবে। রবিবারই সকল প্রার্থীর হাতে জয়ের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।
সমবায় সমিতির এক সদস্য বলেন, মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতি দেখতে পাচ্ছে। ফলে তৃণমূলের ওপর থেকে আস্তে আস্তে তাদের ভরসা উঠে যাচ্ছে। শাসক দলের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজনকে অর্থের লোভ ও ভয় দেখানো হয় প্রার্থী হওয়ার জন্য। পরবর্তীকালে দেখা যায় তাঁদের কেউই রাজি হয়নি। তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠছে।
তৃণমূলের অবশ্য দাবি, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেইদিকে দল বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। একটা সমবায় সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী দিতে না পারাটা কোন বড় ব্যাপার নয়।
উল্লেখ্য, ১৯২৬ সালে তৈরি হয়েছিল এই সমবায় সমিতি। রাজ্যে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সিপিআইএমের দখলে রয়েছে সমবায় সমিতিটি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন