আগামী সপ্তাহের শুরুতেই আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। শনিবার আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। এদিন দুপুরে আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সন্নিহিত এলাকায় থাকা ঘূর্ণাবর্তটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে আটটার সময়ে তা দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ওপরে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া দপ্তরের সূত্র অনুসারে, ঘূর্ণাবর্তটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং বিকেলের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ৮ মে নাগাদ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। এটি বঙ্গোপসাগরের অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের কাছে অবস্থান করবে বলে অনুমান আবহাওয়া দপ্তরের।
আগত এই ঘূর্ণিঝড়ের ‘অশনি’ নামকরণ করেছে শ্রীলঙ্কা। তবে এখন দেখার, এই ঝড় বাংলার বুকে অশনি সংকেত আনে কিনা! উপকূলের জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
IMD-র ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, “ল্যান্ডফল নিয়ে এখনও পূর্বাভাস নেই। কোন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা এখনই স্পষ্ট নয়। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। সাধারণত দুটি সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। একটা প্রাক বর্ষার সময়, অর্থাৎ, মার্চ-এপ্রিল-মে। আরেকটা বর্ষার পর, অর্থাৎ অক্টোবার-নভেম্বর-ডিসেম্বর। বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় হয় মে মাসে ও নভেম্বরের মধ্যে। মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না”।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৯ সালের মে মাসে হয়েছিলো ঘূর্ণিঝড় আইলা। ২০১৯-এর মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ফণি। ২০২০ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় আমফান এবং ২০২১ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ।
শনিবার বেলা বাড়তেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন আগেই কালবৈশাখীর জন্য স্বস্তি পেয়েছিলো দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। যদিও আমফানের ধাক্কা কাটতে না কাটতেই হয়তো আবারও এক বড়োসড়ো বিপর্যয়ের সাক্ষী হতে পারে বঙ্গ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন