ঝড়ের আগে কান্তি আসে - সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে একথা ঘুরে বেড়ায়। আয়লা, ফণি, আমফান ঘূর্ণিঝড়ের সময় এই কথার প্রমাণ পেয়েছে এলাকাবাসী। 'যশ'-এর সময়েও অন্যথা হচ্ছেনা।
কান্তি অর্থাৎ কান্তি গাঙ্গুলি। একের পর এক নির্বাচনে পরাজিত হলেও সুন্দরবন এলাকার মানুষের পাশ থেকে সরে যাননি তিনি। ক্লান্তিহীনভাবে তাঁদের বিপদে আপদে সর্বদা পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের 'কমরেড'। একুশের নির্বাচনে হেরে গিয়েও সংবাদমাধ্যমের সামনে জোর গলায় জানিয়েছিলেন 'ফলাফল যাই হোক না কেন মানুষের পাশে থাকবো'। তাই 'যশ' আছড়ে পড়ার খবর আসতেই 'ঝড়ের বিরুদ্ধে তৈরি হতে' এলাকায় ঝাঁপিয়ে পড়ছেন তিনি।
নিজের ফেসবুকে কান্তি গাঙ্গুলি লেখেন, "রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর ত্রাণ কেন্দ্রের কাজ চলছে পুরোদস্তুর। আমি ফিরছি সুন্দরবনে ঝড়ের বিরুদ্ধে তৈরি হতে।"
নিজের পোস্টে রাজ্য সরকারের কাছে দুটি আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সেগুলো হলো ১) ফ্লাড শেল্টারে মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার আগে দেহের তাপমাত্রা দেখে নেওয়া হোক ও অসুস্থ সাধারণ মানুষের জন্য আলাদা আশ্রয় তৈরী করা হোক, যাতে গ্রামে করোনা আরো ছড়িয়ে না যায়। ২) মানুষ পানীয় ও দরকার পড়লে বৃষ্টির জল যেন জমা করে রাখেন কারণ বাঁধ ভাঙলে নোনা জল পানের অযোগ্য।
ইতিমধ্যেই মুকুন্দপুরে নিজের উদ্যোগে কোভিড হাসপাতাল চালু করেছেন তিনি। আপাতত ৫০টি শয্যার ব্যবস্থা রয়েছে ওই হাসপাতালে। খুব শীঘ্রই তা ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পরিণত হবে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গতকাল বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আজ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে নিম্নচাপটি। এরপর যশ নাম নিয়ে বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে তা। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্যজুড়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন