সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। আগামী ২৪ এপ্রিল শীর্ষ আদালতে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এই নিয়ে মোট ছ'বার পিছলো শুনানি। যার ফলে দিল্লিতে ধর্নারত সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে রাজ্যে ধর্না অবস্থানে বসে থাকা কর্মীরা সকলেই হতাশ।
এখনও মিটলো না বকেয়া মহার্ঘ ভাতার জট। মঙ্গলবারও সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছিল। বিচারপতিরা বলেন, সব পক্ষের আইনজীবীর কথা শুনতে হবে। ফলে শুনানি দীর্ঘক্ষণ ধরে চলবে। কিন্তু আজকে এত সময় নেই।
আদালত সূত্রে খবর, সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবী আদালতে আর্জি জানান, 'মামলাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। তাই কাছাকাছি কোনও শুনানির দিন দিলে খুবই ভালো হয়।' এরপর সব পক্ষের আইনজীবীর কথা শুনে শুনানি পিছিয়ে ২৪ এপ্রিল ঠিক করেন বিচারপতিরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথম শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর। তারপর তা পিছিয়ে হয় ১৪ ডিসেম্বর। কিন্তু সেই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বাঙালি বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। মামলা থেকে সরে দাঁড়ানো নিয়ে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, 'আমরা আসায় কর্মীদের মধ্যে অতি উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তাই এই মামলা আমরা শুনব না।' এরপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। এটিও পিছিয়ে যায়। তারপর শুনানির দিন ঠিক করা হয় ১৫ মার্চ। কিন্তু তা হয়নি। বিশেষ কারণে শুনানি পিছিয়ে যায়। নতুন দিন দেওয়া হয়েছিল ২১ মার্চ। সেইদিনও শুনানি হয়নি। এরপর আজ অর্থাৎ ১১ এপ্রিল শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গেলো।
ডিএ নিয়ে আন্দোলনরত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা বলেন, আজকে মামলার কিছু একটা হলে ভালো হতো। কিন্তু আমরা এখনও আশাবাদী। বিচারব্যবস্থার ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। পাশাপাশি তাঁরা আরও বলেন, আজকে আমাদের দিল্লিতে কর্মসূচি বিকেল ৪টে পর্যন্ত হবে। তার মধ্যে আজকে উপরাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হবে। আমরা ওঁদের কাছে আমাদের দাবিগুলো জানাব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন