১০ মার্চ বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির ডাকে ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মী থেকে বহু বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। জানা যাচ্ছে প্রায় দেড় লক্ষ শিক্ষক ধর্মঘটে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে রাজ্য।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে এই প্রথম ধর্মঘট ডেকেছে সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। ধর্মঘটের দিন সরকারের পক্ষ থেকে বার বার দাবি করা হয়েছিল সমস্ত সরকারি দপ্তরেই কর্মীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল। ধর্মঘট সফল হয়নি। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, যত তথ্য সরকার জোগাড় করেছে, দেখা যাচ্ছে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক (দেড় লক্ষ) ওইদিন গরহাজির ছিলেন। ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শনিবার বিকাশ ভবনের আধিকারিকরা একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন বলে জানা গেছে।
বৈঠকে ঠিক হয়, প্রথমে জেলা প্রাথমিক স্কুল পর্ষদের চেয়ারম্যান, এসআইদের একটি লিখিত নোটিশ দেওয়া হবে। সেই নোটিশের ভিত্তিতে এসআইরা অনুপস্থিত শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিলের কাছে জমা দেবে। শিক্ষা কাউন্সিলের নির্দেশে শিক্ষকদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবেন এসআইরা। ৫ দিনের মধ্যে কারণ জানাতে হবে শিক্ষকদের। ওই রিপোর্ট আবার পাঠাতে হবে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক বোর্ডের কাছে।
১০ মার্চ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন ৫ হাজার শিক্ষক ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করেছেন। যার ভিত্তিতেই নবান্নের তরফ থেকে বলা হয়েছিল ধর্মঘট ব্যর্থ। কিন্তু নতুন তালিকা তৈরি হতেই চক্ষু চড়কগাছ। এর আগে বহু শিক্ষককে শোকজ নোটিশ ধরানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলি সঠিক নিয়ম মেনে করা হয়নি। নবান্ন সূত্রে খবর, ফের যেন একই ভুল না হয়। এবার নিয়ম মেনেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
নবান্নের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিলের মাধ্যমে। ফলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার অধিকার একমাত্র কাউন্সিলের। অন্য কারুর সেই অধিকার নেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন