চারবার হাজিরা খতিয়ে দেখার নির্দেশ নবান্নের! সরকার ভয় পেয়েছে, দাবি ধর্মঘটীদের

জেলার সব DM এবং সব দফতরের বিভাগীয় প্রধানদের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, পৌনে ১১টা, বেলা ১২টা, দুপুর দেড়টা এবং বিকেল ৫টায় কর্মীদের উপস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।
ধর্মঘটে শামিল হলদিয়া মহকুমা আদালতের কর্মীরা
ধর্মঘটে শামিল হলদিয়া মহকুমা আদালতের কর্মীরাছবি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ফেসবুক পেজের সৌজন্যে
Published on

বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের ডাকা ধর্মঘটের বিরুদ্ধে আরও কড়া হলো সরকার। একবার নয়, আজ চারবার কর্মীদের হাজিরা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।

শুক্রবার ১০ টার পরে জেলার সব DM এবং সব দফতরের বিভাগীয় প্রধানদের উদ্দেশ্যে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পৌনে ১১টা, বেলা ১২টা, দুপুর দেড়টা এবং বিকেল ৫টায় কর্মীদের উপস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। যাঁরা আজ কাজে যোগ দেননি, তাঁদের অনুপস্থিতির কারণ খতিয়ে দেখে তাও রিপোর্টে লিখতে বলা হয়েছে।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে ধর্মঘটীরা। স্টেট স্টিয়ারিং কমিটির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সংকেত চক্রবর্তী এক সংবাদমাধ্যমে এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "১০ টা ৪৫-এর পর এলেই তো তাঁকে অ্যাবসেন্ট হিসেবে ধরা হয়। পৌনে ৫ টা পর্যন্ত হাজিরা খতিয়ে দেখার মানে কী? আজ তো ১০.৪৫ পেরিয়ে গেছে, তার মানে আজকের অ্যাবসেন্টের তালিকা তো তৈরি হয়ে গেছে। এবার কি তৃণমূল কর্মীরা সরকারী কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের ডেকে এনে হাজিরা খাতায় সই করাবে? আসলে আজ সারাদিন হাজিরা খাতা খোলা রেখে সরকার দেখাতে চেয়েছে কর্মীদের উপস্থিতি সম্পূর্ণ। এই সরকার কোনো নিয়ম জানে না, আর কিছু মানেও না। আসলে এই সরকার কড়া হতে গিয়ে নিজে যে ভয় পেয়েছে তা প্রকাশ করে দিচ্ছে।"

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই নবান্নের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। যাতে বলা হয়েছিল শুক্রবার কোনো সরকারি কর্মচারী পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নিতে পারবেন না। বিজ্ঞপ্তি না মানলে কর্মজীবন থেকে একদিন বাতিল ও একদিনের বেতন কাটা যাবে। যদিও সরকারের এই ফতোয়া উড়িয়ে এদিনের ধর্মঘটে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন কর্মীরা। ধর্মঘট ডাকা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি, গোটা রাজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ সরকারি কর্মী এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে। নবান্ন, মহাকরণ, খাদ্য ভবন থেকে শুরু করে কলকাতা পৌরসভা সব জায়গাই কার্যত ফাঁকা।   

ধর্মঘটে শামিল হলদিয়া মহকুমা আদালতের কর্মীরা
অধিকাংশ সরকারি দপ্তর কার্যত কর্মীশূন্য - DA-র দাবিতে ধর্মঘট সফল, দাবি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in