মিগজাউমের পরোক্ষ প্রভাবে রাজ্যে লাগাতার বৃষ্টির ফলে মাঠেই নষ্ট ধান, আলু, সর্ষে সহ অন্যান্য ফসল। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষকরা। সরকারের তরফ থেকে তেমন কোনো সাহায্য না মেলে না বলে অভিযোগ তাদের। ফলে আরও চিন্তায় কৃষকরা।
ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবে গত বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় লাগাতার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। আর যার ফলে নষ্ট হয়েছে মাঠের ধান, সর্ষে সহ অন্যান্য ফসল। চিন্তায় ঘুম উড়েছে কৃষকদের। সারা বছর চলবে কী করে, এই চিন্তায় ঘুম উড়েছে কৃষকদের মধ্যে। কারণ মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ধার নেওয়া রয়েছে। তাছাড়া সরকারের তরফ থেকে সাহায্যের কথা বলা হলেও, দায়িত্বপ্রাপ্তদের উদাসীনতার কারণে মেলে না কোনো সাহায্য বলে অভিযোগ কৃষকদের।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষকসভার সভাপতি বিপ্লব মজুমদার ও সম্পাদক অমল হালদার জানান, মাঠে ধান পেকে গেছে, সর্ষেতে ফুল আসতে শুরু করেছে, সবেমাত্র মাঠে লাগানো হয়েছে আলু, পিয়াজ, অন্যান্য সবজি। এই অকাল বর্ষণের ফলে নষ্ট হয়েছে সেই সব ফসল।
সবথেকে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে আলু। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সবে আলুর চারা বসানো হয়েছে। অতিবর্ষণের ফলে সমস্ত আলু এখন জলের নীচে। আর এই আলু চাষে খরচ অনেক। বিঘা প্রতি আলু চাষে খরচ প্রায় ৩৫ হাজার টাকা, যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক মহল।
তবে সব জায়গায় একই অবস্থা নয়। যেসব জায়গায় বৃষ্টির পরিমাণ কম হয়েছে, সেখানে ফসল ক্ষতির কোনো সম্ভবনা নেই।
কৃষকসভার দাবি, রাজ্যজুড়ে কৃষকদের এই বিপদের দিনে যেন রাজ্য প্রশাসন, পঞ্চায়েত যথাসাধ্য সহযোগিতা নিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়ায়।
পশ্চিমবঙ্গ কৃষক মহলের দাবি, আগের বছর চারবার এই রকম দুর্যোগের মুখে পড়েছিল কৃষকরা। সেই সময় পঞ্চায়েতে এবং দুয়ারে সরকারে ক্ষতিপূরণ চেয়ে নথিপত্র জমা দেয় কৃষকরা। কিন্তু অভিযোগ, সরকারের তরফ থেকে অনেকেই কৃষক বীমার টাকা পায়নি। কৃষি দপ্তর বা ব্লক অফিস তাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। নতুন করে যে ক্ষতি হল, তার ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়েও বেশ সংশয়ে আছেন তারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন