রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ পাবেন কেন্দ্রীয় হারে ডিএ। অর্থাৎ ৪২ শতাংশ। এমনই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে এবার দেখা দিল নতুন সমস্যা। রাজ্য সরকারের একটি বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে সমস্যার সূত্রপাত। 'ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল সার্ভিসেস' করত্রি প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই দপ্তরের অধীনে কর্মরত সকলে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের সমতুল্য মহার্ঘ ভাতা পাবেন। মানে তাঁরা পাবেন ৪২ শতাংশ ডিএ। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ধার্য করা হবে ডিএ-র পরিমাণ।
ইতিমধ্যেই, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অনেকেই এই নিয়ে প্রশ্ন করছেন। একজন আন্দোলনকারী বলেন, যাঁদেরকে দেওয়া হবে তাঁরাও রাজ্য সরকারের কর্মী। আর আমরাও সরকারি কর্মী। কিন্তু পৃথক মহার্ঘ ভাতা কেন? তাঁরা পাচ্ছেন খুবই ভালো। কিন্তু বাকিদের বঞ্চিত করার কারণ কী? সকলেই সমান হারে ডিএ পাক। এই দাবিই তো আমরা প্রথম থেকে করে আসছি।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, রাজ্য সরকার সরকারি কর্মীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করতে চাইছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সকলে তো রাজ্য সরকারেরই কর্মী। তাহলে সরকারের উচিত সকলকে সমান চোখে দেখা।
জুডিশিয়াল সার্ভিস-র কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধিত কারণ হিসেবে আবার অনেকে বলেছেন, এটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। কারণ জুডিশিয়াল সার্ভিসের কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ পেয়ে থাকেন। এটা নতুন কিছুই নয়। দিল্লিতে কর্মরত রাজ্য সরকারের কর্মীরাও কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের সমান মহার্ঘ ভাতা পান। তাই এটা গুরু করে দেখা উচিত নয়।
অন্যদিকে, গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে একটা সমাধান সূত্র বের করতে রাজ্য এবং ডিএ আন্দোলনকারী উভয়কেই আলোচনায় বসতে হবে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি তৈরি করতে হবে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে ৫ জন সদস্যকে আলোচনায় বসতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন