বগটুইয়ে নৃশংস অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার এক মহিলা-সহ তিনজন রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই মহিলা নাজমা বিবির মৃত্যু হল সোমবার। ওই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে। সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। আহতদের বয়ান রেকর্ড করতে গোয়েন্দারা হাসপাতালে যান। তাতেই নাজেমা বিবি তাঁর উপর অত্যাচারের কথা জানিয়েছিলেন। নাজমার শরীরের প্রায় ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটছিল। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত মৃত্যুই হল তাঁর। তাঁর বয়স ৪০ বছর। ২১ তারিখ রাতে নাজেমার বাড়িতে বোমাবাজি চলে, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। সরকারি হিসেবে এ নিয়ে বগটুই গ্রামে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯-এ। আনঅফিসিয়ালি এই সংখ্যাটা অনেক বেশী।
এদিকে, সিবিআই তিনদিন হল রামপুরহাটের বগটুই-কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়েছে। আজ প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলতে পারে সিবিআই। সূত্রের খবর, আজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ডাকতে পারেন মৃতের আত্মীয় মিহিলাল শেখকে। অগ্নিকাণ্ড থেকে কোনওক্রমে বেঁচে যাওয়া মিহিলালকে সিবিআই আগেও তলব করলে তিনি যাননি। শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে তিনি এড়িয়ে যান।
প্রসঙ্গত, রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ধারালো অস্ত্র। এদিনই সিবিআই হেফাজতে যাওয়ার সময় ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত ধৃত তৃণমূল নেতা আনিরুল হোসেন নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন। ঘটনায় বিরোধীদের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
উল্লেখ্য, রামপুরহাটে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ওই মহিলার (নাজমা বিবি) শরীরের এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে ইচ্ছে থাকলেও কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁর চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বীরভূমে পাঠানো হয়েছিল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন