বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের গুপ্তচররা গেরুয়া শিবিরে ঢুকে গিয়েছিল। এই গুপ্তচরবৃত্তির জন্যই বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। সাংগঠনিক বৈঠকে বসে বিজেপি নেতৃত্বের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল তৃণমূলের গুপ্তচরবৃত্তি। তাদের অভিযোগের নিশানায় রয়েছেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সপুত্র মুকুল রায়।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলে দলে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার হিড়িক লেগে গেছিল তাবড় নেতাদের। ভোটের টিকিট পেয়েও পরাজিত হন বেশিরভাগ দলবদলু নেতা-নেত্রীই। তারাই এখন আবার তৃণমূলের ফিরতে চেয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কেউ সরাসরি আবেদন জানিয়েছেন। কেউ আবার নেতাদের মাধ্যমে চেষ্টা করছেন। মুকুল রায়-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তাঁরাই গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করেছেন বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।
এমনিতেই নির্বাচনে ভরাডুবির পর দলীয় কোন্দল বারবার প্রকাশে এসেছে। শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যেও মতের অমিল দেখা গিয়েছে। প্রার্থী হওয়া থেকে শুরু করে আরও নানা ইস্যুতে তাঁদের দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়েছে। বৃহস্পতিবার হেস্টিংস অফিসে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে আগামী কর্মসূচির রূপরেখা তৈরি হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ সিং, অরবিন্দ মেনন ও অমিত মালব্য, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কেন দলবদুলদের বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হল? তাঁদের ওপর দলের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া ঠিক হয়েছিল? বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও এই বিষয়ে সরব হন। তাঁকে সমর্থন জানান বিজেপির পাঁচ জন সাধারণ সম্পাদকই।
সূত্রের খবর, বিজেপির কোর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, গোপন প্ল্যানিং, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির স্ট্র্যাটেজি সবই তৃণমূলের কাছে পৌঁছে যায়। বিভিন্ন কর্মসূচি তৃণমূল খুব সহজেই জেনে যায়। তাঁদের এই আশঙ্কার প্রমাণ স্বরূপ দিলীপ ঘোষ-সহ সাধারণ সম্পাদকরা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ সিংকে বেশ কিছু তথ্য ও প্রমাণ তুলে দেন। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ' বেশ কিছু দলবদলু তৃণমূল নেতা বিজেপিতে এসে গুপ্তচরের কাজ করেছে। সেটাই বিজেপির ভরাডুবির অন্যতম প্রধান কারন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন