বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিয়মিত রাজ্যে এসে প্রচার চালিয়েছেন, তারপরও একপ্রকার ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। কেন এমন হল, তার সঠিক কারণ গেরুয়া শিবির ফলাফল প্রকাশের আড়াই মাস পরও বের করতে পারেনি।
হারের কারণ হিসাবে দলের গোষ্ঠীকোন্দল, নিচুস্তরের কর্মীদের ক্ষোভ, প্রার্থী পছন্দ না হওয়ার মতো বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে। তেমনই আত্মতুষ্টির কারণও অনেকে উড়িয়ে দিতে পারছেন না। বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও এমনটাই মনে করেন। আত্মতুষ্টির জন্যই একুশের বঙ্গ নির্বাচনে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়েছে। 'নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করতে গিয়েই হেরেছে দল।' স্পষ্ট বললেন তিনি।
পূর্ব মেদিনীরপুরের চণ্ডীপুরে দলের সাংগঠনিক সভায় হার নিয়ে রবিবার আত্মসমালোচনার সুরেই শুভেন্দু বললেন, 'আত্মতুষ্টির কারণে বিধানসভা ভোটে এই পরাজয়। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন যে, রাজ্যে ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৭০-১৮০ টি আসন পেয়ে যাব। খেজুরি, নন্দীগ্রাম, ভগবানপুর, নন্দকুমারে জিতব। আর চণ্ডীপুরটা হারলে হারুক। এই আত্মতুষ্টির কারণে আমাদের পরাজয় ঘটেছে।'
স্বাভাবিক ভাবেই শুভেন্দুর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, মোদি, অমিত শাহর ডেলি-প্যাসেঞ্জারি করেছেন। আর বিশ্বাসঘাতক শুভেন্দুকে বঙ্গ বিজেপির মুখ করা হয়েছে। এর জন্যই হেরেছে বিজেপি।
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা-সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব একযোগে একের পর এক প্রচার চালিয়ে বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জিততে চেয়েছিল। প্রচারে মূল কথাই ছিল, ২০০ আসনে জয় নিশ্চিত বলে দাবি করা হত। প্রত্যেকেই এ-ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু বাস্তবটা উল্টে গেল। তৃণমূল ২১৩টি আসনে জয়ী হয়। বিজেপি পায় ৭৭টি আসন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন