নির্বাচনে জিতেই অভিষেক ব্যানার্জির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। শুধু তাই নয় প্রাক্তন স্ত্রী তথা নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী সুজাতা মণ্ডলেরও প্রশংসা করলেন তিনি। তবে নিজের দলের নেতাদের বিষয়ে একগুচ্ছ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সৌমিত্র।
বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে মাত্র ৫৫৬৭ ভোটে সুজাতা মণ্ডকে হারিয়েছেন বিজেপির সৌমিত্র খাঁ। নিজে জয়লাভ করলেও রাজ্যে বিজেপির ফলাফলে খুশি নন তিনি। ২০১৯-র নিরিখে ৬টা আসন কমে ২০২৪ সালে ১২টা আসনে থেমেছে বিজেপি। তারপরই বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সমালোচনায় সরব হলেন সৌমিত্র।
জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাহীন লোকজনদের দায়িত্বে দিলে বিজেপির এমনই ফলাফল হবে। আরএসএস এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পাশে ছিল বলেই রাজ্যে ১২টা আসন পেয়েছে বিজেপি। নয়তো সেটাও পাওয়া যেতো না। কোথায় কোন প্রার্থীকে দাঁড় করাতে হবে তা নিয়ে দলের আরও ভাবা উচিত ছিল'।
তিনি আরও জানান, 'দিলীপ ঘোষকে নিজের জেতা কেন্দ্রের বদলে পাঠানো হলো বর্ধমান-দুর্গাপুরে। তাঁকে মেদিনীপুর কেন্দ্রেই দিতে পারতো। কী লাভ হলো সেই তো আসনটা হারতে হলো। আমাদের দলেরই কিছু নেতা তৃণমূলের সাথে সেটিং করে নির্বাচন করেছে। খারাপ ফল তো হবেই। রাজ্য স্তরেরও কিছু কিছু নেতা এর সাথে জড়িত রয়েছে। নয়তো বিজেপির আসন বাড়তো'।
দলীয় নেতৃত্বের সমালোচনার পাশাপাশি অভিষেক ব্যানার্জির প্রশংসাও করেন সৌমিত্র। তিনি বলেন, অভিষেক ব্যানার্জি ভালো করেছে। সেই জন্যই তৃণমূলের ফল ভালো হয়েছে। ওরা অভিষেকের নেতৃত্বে বিধানসভা ধরে ধরে এগিয়েছে। যেটা বিজেপির মধ্যে হয়নি। সুজাতাও ভালো লড়াই করেছে। অনেক খেটেছে'।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যে এই নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের অন্যতম কারণ তা স্বীকার করেছেন বিজেপির জয়ী সাংসদ। তিনি জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য মহিলা ভোট গেছে তৃণমূলে। আমাদের অনেক মহিলা কর্মীরাও তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। সংখ্যালঘু ভোট টানতেও তৃণমূল সক্ষম হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে পর পর তিনবার সাংসদ নির্বাচিত হলেন সৌমিত্র খাঁ। ২০১৪ সালে জিতেছিলেন তৃণমূলের টিকিটে। ২০১৯ এবং ২০২৪ সালে জিতলেন বিজেপির টিকিটে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন