দেউচা পচামিতে আদিবাসীদের খনি বিরোধী আন্দোলনে বামেরা পাশে থাকবে। পূর্ব বর্ধমানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এমনটাই জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই দেউচার আন্দোলনে সিপিআইএম-র রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন ‘সেভ ডেমোক্রেসি’ সক্রিয়। স্থানীয় আদিবাসীদের আইনি সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, দেউচায় পরিস্থিতি ক্রমশই উত্তপ্ত হচ্ছে। খনি বিরোধী আন্দোলন দিন দিন তীব্র হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকল্প চেয়ে মিছিল শুরু করে শাসকদল তৃণমূল। সেই মিছিলে লাঠি নিয়ে তেড়ে যান আদিবাসী মহিলারা। মিছিলে ছিলেন সদ্য তৃণমূলে যোগদান করা আদিবাসী নেতা সুনীল সোরেন- সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। আদিবাসীরা পোস্টার, ফেস্টুন ছিঁড়ে দিয়ে বলেন, ওই এলাকায় কোনও কয়লাখনি করা চলবে না। এরপর শুরু হয় এলাকাজুড়ে পুলিশি ধরপাকড়। এমনটাই অভিযোগ করেছেন আদিবাসী অধিকার মঞ্চের নেতৃত্ব।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন – “বীরভূমের দেউচা পাচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার যা বলছে তা স্পষ্ট নয়। এই নিয়ে স্থানীয় মানুষেরা যে আন্দোলন করছেন সিপিএম তার পাশে থাকবে। রাজ্যের বাসিন্দাদেরই বহিরাগত বলা হচ্ছে এটাই আশ্চর্যের!” তিনি আরও বলেন – “দেউচা পাচামিতে প্রকল্প না হওয়ার কী আছে! কিন্তু আমরা সুনির্দিষ্ট কয়েকটি প্রশ্ন রেখেছি। সরকার তার জবাব দেয়নি। অর্থাৎ, বোঝা যাচ্ছে, স্বচ্ছতা নেই সরকারের বক্তব্যে। সরকারের যা বলছে, সেগুলোর মধ্যে যুক্তি, বিশ্বাসযোগ্যতা কিছুই নেই।”
উল্লেখ্য, শনিবার হরিণশিঙায় শ’য়ে শ’য়ে মহিলা খনি বিরোধী মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন। সেখানেই একযোগে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “চাকরি ফরম চাই না। ফরম নিয়ে এলেই ছিঁড়ে ফেলব। আর যারা কয়লা খনির জন্য দালালি করতে আসবে, তাদের আলাদা ব্যবস্থা হবে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন