দেউচা-পাচামিতে সিপিআই(এম)-র কয়লা খনি বিরোধী পথসভা চলাকালীন পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ জানালেন স্থানীয় নেতৃত্ব। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন। তাই মাইক বাজেয়াপ্ত করে সিপিআই(এম)-র জেলা সম্পাদক-সহ তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
দেউচা-পাচামিতে প্রস্তাবিত খোলামুখ কয়লাখনির বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব বামেরা। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে যাত্রা শুরু হয়েছে বামেদের পক্ষ থেকে। ওইদিন কলকাতা থেকে বাম সমর্থিত 'বিদ্বেষের রাজনীতি বিরোধী জনমঞ্চ' যাত্রা শুরু করে। এদিন বোলপুরে তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে।
আমেরিকার পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রস্তাবিত খোলামুখ কয়লা খনির কাজ শুরু হবে বীরভূমের দেউচা-পাচামিতে। কিন্তু এই কয়লা খনির জন্য একদিকে ধ্বংস হবে বিস্তীর্ণ বন ও জলাভূমি। পাশাপাশি ২১ হাজারের বেশি মানুষের বসতির জন্য অন্যত্র ব্যবস্থা করে দিতে হবে। পরিবেশবিদরা এই কয়লাখনির বিরোধিতা করেছে। তাঁদের বক্তব্য, এই খনি জনস্বার্থবিরোধী। তাই কেন্দ্র সবুজ সংকেত দেওয়ার পর থেকেই প্রতিবাদে নেমেছে বামেরা।
এদিন বোলপুর বকুলতলায় সভা চলাকালীন নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে ম্যাজিস্ট্রেট ও বোলপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সভার অনুমতিপত্র দেখতে চাওয়া হয়। পরে পথসভা থেকে মাইক বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। বীরভূমের সিপিআই(এম)-র জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ-সহ তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
বীরভূমের জেলাশাসক জানান, নির্বাচনী বিধি মেনে সভা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয় - 'এই কয়লা খনি জনবিরোধী। আমরা এর বিরোধিতা করছি। তাই প্রশাসন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বাধা দিচ্ছে। কোনও রাজনৈতিক সভা নয়, বিরোধী জনমঞ্চকে সংবর্ধনা দেওয়ার অনুষ্ঠান। তাতেও বাধা দিচ্ছে পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন