শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সৌজন্য সাক্ষাৎ ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। দিন ঘুরতে না ঘুরতেই এবার তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর বাড়িতে 'চায়ে পে চর্চা' বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
সূত্রের খবর, কাঁথির 'শান্তিকুঞ্জ'-এ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শিশির পুত্র তথা তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তমলুকের সাংসদের কথায়, আমার বাড়ির দোরগোড়ায় সভা রয়েছে অভিষেকের। উনি এলে আমি চা খেতে আসতে বলব। উনি এলে আমি খুশিই হব।
আগামী ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে জনসভা রয়েছে অভিষেকের। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর কাঁথিতে এই নিয়ে তৃতীয় সভা করবেন তৃণমূল নেতা। সভাটি অনুষ্ঠিত হবে কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজ ময়দানে। যেখান থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির দূরত্ব মাত্র ২০০ মিটার।
এর আগে গত দু'বারই কাঁথির সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন অভিষেক। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দুও। এই অবস্থায় তাঁরই বাড়িতে অভিষেকের নিমন্ত্রণ কি নিছকই সৌজন্য সাক্ষাত? নাকি এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে, প্রশ্ন বিরোধীদের।
অন্যদিকে মমতা এবং শুভেন্দুর সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে দিব্যেন্দুর দাবি, বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেই পারেন। ওঁরা নমস্কার বিনিময় করেছেন। নিঃসন্দেহে এটা ভাল দিক। সুস্থ আলোচনার মাধ্যমে শাসক-বিরোধীরা নিজেদের মত আদান-প্রদান করবে এটাই কাম্য। সর্বদা বিধানসভা বা লোকসভা অচল করে, গণ্ডগোল করে কাজ হয় না। বরং সময় নষ্ট হয়। তবে, তাঁদের মধ্যে কি কি বিষয়ে কথোপকথন হয়েছে সেটা তাঁরাই জানেন। আমি শুধু আমার কথা বলতে পারি।
অন্যদিকে নাম না করেই মমতার উদ্দেশ্যে তৃণমূল সাংসদ খানিক উল্টো সুরে বলেন, যাঁরা আমার বাড়ির ৫০০ মিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে পিতৃশ্রাদ্ধ করে গিয়েছেন, সে বিষয়েও নিশ্চয়ই উনি (মমতা) কিছু বলবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন